×

অপরাধ

ভোটারবিহীন একপেশে নির্বাচনের কতটুকু দায় নির্বাচন কমিশনের?

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পিএম

   

শেখ হাসিনার সরকারের নির্দেশে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, দেশের সংবিধান ও আইনকে লঙ্ঘন করে একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন লোক দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু অনির্বাচিত লোককে সংসদ সদস্য ঘোষণা করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। একপেশে নির্বাচনের কারণে দেশের মানুষ ভোট দিতে না পেরে নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গণতন্ত্র।দেশে স্বৈরাচারী লুটেরা ব্যবস্থার আবির্ভাব হয়। 

পরিকল্পিতভাবে এই ভোটারবিহীন একপেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে ২০১৪, ২০১৮ ও সবশেষ ২০২৪ সালে। কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে এই তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সবগুলো নির্বাচনই আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা হারায়। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়। ২০১৪ সালের কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে একপেশে নির্বাচনে বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৫৪ জন, ২০১৮ সালে সিইসি কে এম নুরুল হুদার সময়ে নির্বাচনের আগের রাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার গুরুতর অভিযোগে ওঠে। 

সবশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়ায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা অভিযোগ থাকলেও কোন ভ্রুক্ষেপ না করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য একপেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যা দেশের মানুষের কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য ছিলো না। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কোন বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন করা প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়।

২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে দায়িত্বে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন যে গ্রহণযোগ্য হয়নি এবং সেই নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক ছিলো তা স্বীকার করেছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তারপরও একই পথে হাঁটেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ভোটরবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় বসান নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। কিন্তু বাস্তবতা ছিলো ভিন্ন। ভোটের মাঠ ঘুরে দেখা যায় কোন কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিলো না। সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য ছাপা হয়। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখানোর জন্য ভোটার উপস্থিতি বেশি করে দেখানো হয়েছে বলে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় উঠে।  আন্তর্জাতিকভাবেও এই নির্বাচন নিয়ে নানাভাবে প্রশ্ন তোলা হয়। 

এরপরও সেই নির্বাচনেই গঠন করা হয় সংসদ । এভাবেই সংবিধানের বাধ্য বাধকতার ধোয়া তুলে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতায় বসানো হয়েছে আওয়ামী লীগকে। আর এর জন্য সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। বিতর্কিত এই নির্বাচনগুলোর দায় থেকে কোনভাবেই নির্বাচন কমিশন মুক্ত থাকতে পারে না বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App