সরকারি টেলিফোন অফিসে রমরমা লাকড়ির ব্যবসা

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ঝালকাঠির রাজাপুরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সরকারি অফিসে সারি সারি গাছের গুঁড়ি এবং জ্বালানির লাকড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। একজন গুঁড়ি কেটে লাকড়ি বানাচ্ছেন এবং সেখানে বসেই তা বিক্রি করছেন।
ওই অফিসেরই কর্মচারী মো. লিটন দীর্ঘদিন ধরে এ লাকড়ির ব্যবসা করে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজাপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের প্রবেশ গেইট তালাবদ্ধ। অফিস কম্পাউন্ডের পুরো জায়গা বিভিন্ন ধরনের লাকড়িতে ভরপুর। দীর্ঘদিন ধরে এখানে তা বেচাকেনা করছেন লিটন। বড় বড় গাছ কিনে টিএন্ডটি অফিস কম্পাউন্ডেই তা কাটা হয়। সারি সারি সাজিয়ে রেখে এখান থেকেই তা বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ লিটন স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসকে লাকড়ির ব্যবসার গোডাউন বানিয়ে রেখেছেন। এখানে মাদকের আড্ডাও বসে মাঝে মাঝে। এছাড়া কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়।
টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্বরত কর্মকর্তা না আসার সুযোগে সরকারি এ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত লাকড়ির গোডাউন বানিয়েছেন লিটন।
এ বিষয়ে রাজাপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মচারি ও লাকড়ি ব্যবসায়ী লিটন জানান, এখানে ব্যবসা করা অন্যায়। তাকে কম বেতন দেয়ার কারণে তিনি এ ব্যবসা করেন। তবে শিগগিরই সেখান থেকে সব লাকড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেবেন।
বাংলাদেশ সরকারি টেলিফোন সংস্থা (টিএন্ডটি) ঝালকাঠি এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম খান বলেন, পহেলা নভেম্বরের মধ্যে লাকড়ি সরিয়ে জায়গা খালি করার জন্য লিটনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই জায়গা পরিষ্কার করা হবে।