অপহরণের ৬ দিন পর পাটেরবাগ জামে মসজিদের ইমামকে উদ্ধার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম

ফাইল ছবি
অপহরণের ৬দিন পর পাটেরবাগ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান হাওলাদারকে উদ্ধার করাসহ ২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। অপহরণকারীরা হলেন- দাদন হাওলাদার (৪০) ও তার প্রধান সহযোগী মো. বাকি হোসেন (৩৫)। ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপনের জন্য রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে ৬ নভেম্বর অপহরণ করা হয়। ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানা এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে অপহৃতসহ অপহরণকারীদের আটক করা হয়।
র্যাব-১০ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি তাপস কর্মকার শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাটেরবাগ জামে মসজিদে ইমামতি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন হাফেজ মো. সোলাইমান হাওলাদার। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধনিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। গত ৬ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে বাজার করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি তিনি। ওইদিনই বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে সোলাইমানের বাবা ও মায়ের মোবাইল ফোনে দাদন নামক এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় যে, সোলাইমানকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে ৬০ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। অন্যথায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয়। অতঃপর ভুক্তভোগীর স্ত্রী পরের দিন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অপহৃত সোলাইমানকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তাররা ভিকটিম সোলাইমানকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের জন্য অপহরণ করেছিল বলে স্বীকার করে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: শিল্পপতি প্রেমিককে ১১ টুকরো, বেরিয়ে এলো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য