মিরপুরে কাগজপত্র ছাড়ায় চলছে আবাসিক রয়েল হোটেল, দেখার যেন কেউ নেই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের কারণ অনেকের জানা আছে। যার আসল কারণ ছিল বিল্ডিংয়ের অবকাঠামো ও স্থাপনা অবৈধ। ফলে প্রায় ১১৩৪ মানুষের মৃত্যু হয়। রাজধানীতে অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ঠিক এই ধরণের নিবন্ধনহীন এক আবাসিক হোটেলের সন্ধান পাওয়া গেছে মিরপুরে। যা প্রতিনিয়ত হোটেলে থাকতে আসা সাধারণ মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ।
মিরপুর ১ দারুসসালাম থানাধীন, দক্ষিণ বিশিল শাহ মাজারের সামনেই আবাসিক রয়েল হোটেল। যেখানে প্রতিনিয়ত মাজারে আসা ভক্ত থেকে শুরু করে অনেকে আসেন। কিন্তু অনেক বছর ধরে চলা এই হোটেলের নেই কোনো লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিস, ট্রেড লাইসেন্স। শুধু একটি টিন সার্টিফিকেট দিয়েই বছরের পর বছর এভাবেই চলছে এটি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন হোটেলের ম্যানেজার সিরাজ। নিউজ না করার শর্তে অনেক অনুরোধও করেন তিনি। হোটেল কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেলের মালিক সুরুজ মিয়া চুপ হয়ে যান। কোনো ধরনের কাগজপত্রই তিনি দেখাতে পারেননি। এসময় নিজের অবস্থার উন্নতি দেখিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপটও দেখান এই সুরুজ মিয়া। ক্ষমতার দাপটে শুধু টিন সার্টিফিকেট দিয়েই বছরের পর বছর চলছে আবাসিক রয়েল হোটেল। যা হোটেলে থাকতে আসা ভ্রমণকারীদের জন্যে ভয়ংকর ও হুমকিস্বরুপ।
হযরত শাহ আলী (রঃ) মাজার শরীফের প্রধান প্রবেশপথের বিপরীতে একক মালিকানায় হোটেল রয়েল আবাসিক নামে হোটেলটি পরিচালনা করছেন সুরুজ মিয়া। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা প্রকাশ্য দিবালোকেই নারী পুরুষের ওঠানামার সিরিয়াল লেগেই থাকে এখানে। যেখানে কোনো ধরনের পরিচয়পত্র প্রয়োজন পড়ে না থাকতে আসা ভ্রমণকারীদের। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন বলেন, বাহির থেকে স্বামী স্ত্রী ছাড়া কেউ থাকতে হলে দিতে হয় বেশি পরিমাণ টাকা। যা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের টিও টেক্স অফিসার মো. মজিবুর মিয়া বলেন, অভিযোগ সত্য হলে এসব আবাসিক হোটেলের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় এনে যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা করা গ্রহণ করা হবে।