বিএনপি ও কাদের সিদ্দিকীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তালতলা চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়, যার ফলে পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হন।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার বিএনপি তাদের সমাবেশের আয়োজন করে। একইদিনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকেও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মী সমর্থকদের একটি মিছিল তালতলা এলাকায় পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এরপর তারা পোস্ট অফিসের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমর্থকরা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী নাঈম শিকদারকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে। এই খবর দ্রুত সারা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে পরিণত হয়। সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম তার বাসভবনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে কটাক্ষমূলক বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু অশালীন মন্তব্য করেন। এরপর প্রতিবাদ হিসেবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা তালতলা চত্বরে মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেন। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা আগেই ওই চত্বরটি দখল করে রাখে।
বেলা ১১টার দিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে ওই চত্বরে আসার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব বলেন, "আমাদের প্রতিবাদ মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সাজু বলেন, "পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা লাঠির মাথায় গামছা বেঁধে আমাদের সমাবেশের দিকে আসছিল। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।"
এ বিষয়ে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন (ওসি) বলেন, "ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকাল থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পরে হঠাৎ করেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, আমরা তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।"