ঢামেকে নারী চিকিৎসককে মারধর: অভিযুক্ত স্বজন আটক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। ভুক্তভোগী চিকিৎসকের নাম মানার হাফিজ, তিনি হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় শম্পা (৩৯) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা ডিউটি অফিসার, উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে রোগীর স্বজনরা ওই নারী চিকিৎসককে মারধর করেছেন এমন অভিযোগে শম্পাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বর্তমানে শাহবাগ থানার হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃত নারীর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় এবং তার স্বামীর নাম জাকির হোসেন শামীম।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মানার হাফিজ ওই সময় হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ডিউটি পালন করছিলেন। শম্পার বোন ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এরপর সামান্য বিষয় নিয়ে শম্পা ক্ষুব্ধ হয়ে মানার হাফিজের ওপর আক্রমণ করেন এবং তাকে মারধর করেন। পরে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে হাসপাতালের পরিচালক এসে শম্পাকে আটক করেন। এরপর তাকে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আহত চিকিৎসক মানার হাফিজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার পর বিভিন্ন চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তারা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগেও ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজি (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর অবহেলাজনিত মৃত্যুর পর ঢামেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছিল।
সেই সময় নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসক—ইমরান, মাশরাফি এবং জুবায়ের আহত হন। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন, দাবি ছিল হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের।
এই হামলার পর চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। যার মধ্যে সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়। চার মাস পর ফের এমন একটি হামলার ঘটনা ঘটলো, যা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।