শাহজালাল বিমানবন্দরের ৪০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা, যা বেড়ে ২২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিদেশ থেকে ক্রয়ের বদলে স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে বিদেশি ক্রয় হিসেবে দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া সয়েল টেস্টে অনিয়ম এবং নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। তিনটি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়া প্রকল্পের মধ্যে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি দরপত্রে উল্লেখ থাকলেও, চীন ও কোরিয়ার নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সিলিংয়ের কাজেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছেন দুদক।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়। এর নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয় এবং মোট ব্যয় ধরা হয় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা জাপানি সহযোগিতা সংস্থা-জাইকা ঋণ হিসেবে প্রদান করছে এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি, ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির আংশিক উদ্বোধন করেন।