অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ না নিলে আইনি লড়াই করবেন মেজর জিয়া

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সাবেক সেনাকর্মকর্তা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর প্রত্যাহার চেয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, যদি সরকার তার আবেদন গ্রহণ না করে, তবে তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) এই সংবাদটি তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন।
এদিকে, ১৪ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেছে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে। তিনি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং এখন মামলা ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ থেকে মুক্তি চাইছেন। তিনি সরকারকে অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে তাকে ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী মনোভাবের কারণে একের পর এক জঙ্গি নাটকে জড়ানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশের খাতায় তিনি ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময় তাকে আনসার উল্লাহ (জেএমবি), আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। ব্লগার দীপন, অভিজিৎ, জুলহাস হত্যাসহ মোট ৭টি মামলার আসামি তিনি। এ তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ড রয়েছে।
তবে, ১৪ বছর পর অবশেষে তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মেজর সৈয়দ জিয়া আইনমন্ত্রণালয়ে নিজের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন, তার নাম মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা থেকে মুছে ফেলতে এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য।
মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন জানান, মেজর জিয়া তাকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ফোন করে বলেছেন, এই মামলাগুলো সব মিথ্যা। তিনি দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মেজর জিয়া ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন, তবে তার ঠিকানা এখনো জানা যায়নি। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, মেজর জিয়া এখন কোথায় আছেন তা তাকে জানায়নি।
একটি অডিও কলের মাধ্যমে মেজর জিয়া চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ফ্যাসিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী হওয়ায় আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রথমে তাকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, পরে আল কায়দা, আনসার আল ইসলাম, এবং আইএস সদস্য হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। তার মতে, সরকার তার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের জন্য এই বিভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করেছে।
এছাড়া, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে ২৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে পুরস্কার প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছে, যা তার বিরুদ্ধে জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড দেয়ার কারণে করা হয়েছিল।