আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৮ আইনজীবী কারাগারে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
খুলনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলা আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগপন্থি আট সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে মামলার অপর ১৫ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা।
কারাগারে পাঠানো আইনজীবীরা হলেন- আব্দুল কুদ্দুস, আল আমিন, সোহেল পারভেজ, সুমন্ত কুমার বিশ্বাস, তমাল কান্তি ঘোষ, শেখ শামীম আহমেদ পলাশ, সাইদুর রহমান টুটুল এবং মেহেদি হাসান।
এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তারিক মাহমুদ তারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু এবং অ্যাডভোকেট জেসমিন পারভিন জলি। তারা বর্তমানে পলাতক বলে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. এমাম হোসেন বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে গত ৪ আগস্ট খুলনায় বিএনপির আয়োজিত একটি মিছিলে অংশ নেন তিনি এবং প্রায় অর্ধ শতাধিক আইনজীবী।
মিছিলটি জেলা স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছালে সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা তাদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে গুলির ঘটনা ঘটে, ফলে মিছিলে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
আসামিদের মধ্যে ২৩ জন গত ৩ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে রবিবার তারা খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ১৫ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং আটজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি নিয়ে খুলনার রাজনৈতিক ও আইনজীবী মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মামলার ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও কৌতূহল বাড়ছে।