পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

হারিছ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ এএম

দিনভর টাকা গণনা শেষে রাতে জানা যাবে এবারের দানের পরিমাণ। ছবি : ভোরের কাগজ
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১০টি লোহার দানবাক্সে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে মসজিদের দানবাক্স খুলে এক এক করে ২৯টি বস্তায় টাকাগুলো ভর্তি করে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নেয়া হয়। সেখানেই চলছে গণনা। এবার আশা করা হচ্ছে টাকার পরিমাণ গত রেকর্ডটিকেও ছাড়িয়ে যাবে।
এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এই মসজিদের দানবাক্সগুলো ৩ মাস ১৩ দিন পর খোলা হয়েছে। আগে ৯টি দানবাক্স ছিল ১১দিন পূর্বে আরো একটি দান সিন্দুক বৃদ্ধি করে ১০টি বাক্স করা হয়েছে। মসজিদের টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে রাখা হয়। পরবর্তীতে টাকাগুলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাখাতে ব্যয় করা হয়। এছাড়া মসজিদের এতিমখানার ১৩০ জন এতিম শিক্ষার্থী ভরনপোষণ ও মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সদস্যের বেতনবাবদ ব্যয় করা হয়।
আরো পড়ুন : খোলা হচ্ছে পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিলেছে বস্তাভর্তি টাকা
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, আমরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছি।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মসজিদের টাকা গণনা চলছে। এই গণনায় নূরুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসার ১৩০ জন, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ১৫৫ জন শিক্ষার্থী, পাগলা মসজিদের ৪৫ জন স্টাফ ও রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ৬০ জনসহ মোট ৩৯০ জন অংশগ্রহণ করেছেন।
দিনভর টাকা গণনা শেষে রাতে জানা যাবে এবারের দানের পরিমাণ।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা গণনার কাজে ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টা গণনা করে ৭কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।