রপ্তানি আয়কে একদিনের মধ্যে টাকায় রূপান্তরের নির্দেশ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ০৮:৩১ এএম
দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সরবরাহ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে রপ্তানি আয়কে একদিনের মধ্যে তা টাকায় রূপান্তরের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (৩০ মে) এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে রপ্তানি আয়ের সঙ্গে সঙ্গে মূল্য সংযোজন অংশ টাকায় রূপান্তর করা হয় না। এতে রপ্তানিকারকদের নগদায়নে বিলম্ব হওয়ায় তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালে ঘাটতি তৈরি হয়।
রপ্তানি আয়ের মূল্য সংযোজন অংশের জন্য এ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়। মূল্য সংযোজন অংশ হলো পণ্য রপ্তানি আয় পেলে আমদানির ঋণপত্রের (এলসি) মূল্য পরিশোধের পর যে অর্থ থেকে যায়।
সম্প্রতি ব্যাংকগুলো অভিযোগ করেছে যে দেশের বাজারে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক রপ্তানিকারক ডলারকে টাকায় রূপান্তর করছেন না।
স্বল্প রপ্তানির বিপরীতে উচ্চ আমদানি ও নিম্ন রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে গত ২৫ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসার পর এ নির্দেশনা দেয়া হলো। গত ডিসেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিদেশি মুদ্রায় আসা রপ্তানি আয়ের স্থানীয় মূল্য সংযোজন অংশ নগদায়নের পর ব্যাংকগুলোকে সাধারণত রপ্তানি আয়কে একটি সিঙ্গেলপুলে রাখার অনুমতি দেয়া হয়। এই তহবিল শুধু সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানি পেমেন্ট নিষ্পত্তির জন্য ব্যবহার করা যায়।
আরেকটি সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে যে রপ্তানিকারকরা যে ব্যাংকের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করে ওই ব্যাংকের কাছেই তাদের রপ্তানি বিল বিক্রি করতে হবে।
অনেক রপ্তানিকারক তাদের রপ্তানি আয় বাড়তি এক্সচেঞ্জ রেটের প্রস্তাব পেলে অন্য ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দেয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্যাংক রপ্তানিকারকদের প্রতি ডলারে ৯৫ টাকা থেকে ৯৭ টাকা এক্সচেঞ্জ রেটের প্রস্তাব দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলে একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন।