নির্ধারিত হলো ডলারের অভিন্ন রেট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:২১ পিএম

রবিবার সোনালী ব্যাংকের বোর্ড রুমে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) বৈঠক হয়। ছবি: ভোরের কাগজ
দেশের বাজারে এখন থেকে ডলারের অভিন্ন রেট নির্ধারিত হয়েছে। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা হিসেবে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) সংগ্রহ করবে।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সোনালী ব্যাংকের বোর্ড রুমে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
[caption id="attachment_367416" align="aligncenter" width="700"]
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে রপ্তানি বিল নগদায়ন হবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকায়। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আহরণ ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ব্যাংকগুলোর গড় খরচ হবে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো।
ফলে এলসি সেটেলমেন্টের জন্য ডলার বিক্রি হবে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সায়। এতে কিছুটা খরচ কমবে আমদানিকারকদের।
বৈঠক শেষে বাফেদার সভাপতি ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম বলেন, দেশের বাজারে ডলারের রেটের যে ভেরিয়শন তা আর থাকছে না। একক রেট নির্ধারণ এবং প্রতিযোগিতা যেন না থাকে সেজন্য এবিবি ও বাফেদা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের এক্সচেঞ্জ হাউস এবং সমগোত্রীয় ইনার রেমিট্যান্স হবে সর্বোচ্চ রেট ১০৮ টাকা। সকল এডি ব্যাংকগুলো এ নিয়ম মেনে চলবে। পাশাপাশি সব রপ্তানি এবং ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ৯৯ টাকা। আজ সোমবার থেকে এটি কার্যকর হবে।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, আজকের বৈঠকে যে ১০৮ টাকা রেট বেধে দেয়া হয়েছে তা কিছুদিন চলবে এবং তা টাইম টু টাইম দিস রেট উইল চেঞ্জ। এ রেট একেবারেই নির্ধারিত না। তবে আমরা শুরু করলাম, আগামী বেশ কিছুদিন এই রেট চালু রাখনো। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আজকের এই পদক্ষেপটি ব্যাংকিং খাতের একটি বড় মাইল ফলক। কারণ আমাদের এই যাত্রাটা হচ্ছে- দিস ইজ এ জার্নি টুওয়ার্ডস। মোর মার্কেট ডিটারমিন এক্সচেঞ্জ রেট। অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট থাকবে। ইন্টারভেনশনও থাকবে এবং বিভিন্ন সময় আমাদের গাইডও দিবে। আমরা মনে করি বর্তমান পরিস্থিতিতে এ রেটই যুক্তিসঙ্গত।