প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে সার্কুলার ইকোনমি সামিট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ১১:২২ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে সার্কুলার ইকোনমি সামিট। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল ৯ টায় শুরু হয়েছে ,‘সার্কুলার ইকোনমি সংক্রান্ত প্রচলিত ভুল ধারণা ও সঠিক ধারণা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন। ‘বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিট’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। লডস ফাউন্ডেশন সহযোগিতায় এ সামিট আয়োজনে অংশীদার হিসেবে রয়েছে পিফোরজি।
এ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে জিআইজেড, বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস এবং এইচঅ্যান্ডএম গ্রুপ। দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনী সভাসহ চারটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা সভা, তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা, তিনটি বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা, একটি গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি ফায়ারসাইড চ্যাট থাকবে।
পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনগুলোর আলোচ্য বিষয়বস্তুগুলো হলো- যথাক্রমে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি-চক্রাকার অর্থনীতির দিকে অগ্রযাত্রা’, ‘সার্কুলার সিটিস’, ‘পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে চক্রাকার অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিতকরণে নীতির ভূমিকা’ এবং ‘বাংলাদেশে পোস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসাইক্লিংয়ের ক্ষেত্রে অর্জিত শিক্ষা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ। এ ক্ষেত্রে প্রগতির জন্য ব্যবহারিক এবং বাস্তবসম্মত পরামর্শ এবং পদক্ষেপ’।
‘সার্কুলার ইকোনমি সংক্রান্ত প্রচলিত ভুল ধারণা ও সঠিক ধারণা’, ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমি : চ্যালেঞ্জসমূহ এবং সম্ভাবনা’ এবং ‘বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের সার্কুলার বিজনেস মডেল এবং ডিজাইন’ শীর্ষক তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
সামিটে আরও থাকবে ‘সার্কুলারটি গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৩’, ‘চক্রাকার ও টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের পরিকল্পনা’ এবং ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ফ্যাশন প্রসারে উৎসাহিতকরণ’ শীর্ষক তিনটি উপস্থাপনা।
কীভাবে অধিকতর ও গুণগত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে একটি সার্কুলার ইকোনমিতে উত্তরণ করা যায় সে বিষয়ে একটি ফায়ারসাইড চ্যাট থাকবে, যেখানে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ওই বিষয়ে তাদের মুক্ত চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, সার্কুলার ইকোনমি বা চক্রাকার অর্থনীতি হলো প্রথাগত অর্থনীতির একটি বিকল্প। প্রথাগত অর্থনীতি চলে রৈখিকভাবে, যেখানে আপনি পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করেন, ব্যবহার করেন এবং ফেলে দেন।
অন্যদিকে সার্কুলার ইকোনমিতে আপনি সম্পদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন এবং ব্যবহৃত পণ্য থেকে সর্বোচ্চ মূল্য সমপরিমাণ ভোগ করেন। বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটের লক্ষ্য হলো সমান্তরাল থেকে চক্রাকার ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ অন্বেষণ করা এবং দেশে চক্রাকার অর্থনীতির বাস্তবায়ন ও উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।’