৮২৪ দিন পর ইভ্যালির রাসেল কারামুক্ত

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৮২৪ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মুক্তি পান তিনি। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১–এর জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ। মো. রাসেল একাধিক মামলায় এ কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর সব মামলায় জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছানোর পর যাচাই–বাছাই শেষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়।
গত বছরের ৬ এপ্রিল শামীমা জামিনে মুক্ত হলেও কারাগারে ছিলেন রাসেল। ২০২১ সালে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক। এরপর ওই বছরেরই ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে আটক করে র্যাব। ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে একজন গ্রাহক আদালতে আবেদন করলে ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন আদালত। পরে রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও এক আত্মীয় আদালতে উপস্থিত হয়ে রাসেল ও শামীমার শেয়ার নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন হাইকোর্ট তাদের শেয়ার হস্তান্তরে স্বাধীনতা রয়েছে বলে আদেশ দেন। এরপর আদালতের আদেশে গঠিত পরিচলনা পর্ষদের সদস্যরা পদত্যাগ করেন। তারপর আদালতের আদেশ অনুসারে, গত বছর শামীমা, তার মা ফরিদা আক্তার ও বোনের স্বামী মামুনুর রশীদ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এছাড়া ইক্যাব সহসভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আছেন পর্ষদে।
সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রাসেল কারাগারে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসে চলা ইভ্যালির মূল সার্ভারের পাসওয়ার্ড স্মরণ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটির বিপুল দেনা নিরূপণ করতে পারেনি আদালত গঠিত পর্ষদ ও নিরীক্ষক। বর্তমান পর্ষদ নতুন সার্ভার ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের নামমাত্র পুনরুজ্জীবন ঘটায়। কিছু অর্ডারও আসছে প্ল্যাটফর্মটিতে।