পাটপণ্য রপ্তানি আয়ে সুবাতাস

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২০, ১১:২৯ এএম

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি আয়ে বড় রকমের হোঁচট খেলেও পাটপণ্যের রপ্তানি আয় সুখবর দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪.৪৫ শতাংশ।
সম্প্রতি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পাটপণ্যে লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় বেড়েছে ২৮.১২ শতাংশ। এ সময়ে এই খাত থেকে আয় এসেছে ৬৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। তবে পাটপণ্যে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ালেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি আয়ে বড় রকমের হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ।
১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ২ হাজার ৬২৪ কোটি ১৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৭৯ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ১২.৭২ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা কোনোটাই স্পর্শ করতে পারেনি দেশের তৈরি পোশাক খাত। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.৫৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ১৩.৪৫ শতাংশ।
এদিকে, চামড়া রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৯.৪ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ১২.৫১ শতাংশ। গত অর্থবছরজুড়েও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
এছাড়া গত আট মাসে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.৮ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৩.৯১ শতাংশ কম। গত ৭ মাসে হোম টেক্সটাইল খাতে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা দুটিই কমেছে। এ সময় আয় এসেছে ৫২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই ফেব্রুয়ারি মাস শেষে কৃষি পণ্য রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ৯.৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩.৮৩ শতাংশ।