বেড়েছে ডিম, আলু, পেঁয়াজের দাম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর নিত্যপণ্যের দাম না কমে আরো বাড়ছে। ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে অত্যন্ত চড়া দামে। এই তিন পণ্য ছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই কমবেশি বাড়তি। যে কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজারের দেখা গেছে, বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর একটি ডিমের দাম নেয়া হচ্ছে ১৪ টাকা।
গত এক সপ্তাহে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৭০ টাকা ছিল। এদিকে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তি আদা-রসুনের দামও। প্রতি কেজি আদা ও রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সবজি আলুর দামও বেড়েছে। গত বছর থেকে আলুর দাম অসহনীয়। এখন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েকদিন আগেও ৫০ টাকা ছিল। এদিকে বাজারে বিভিন্ন সবজিসহ তেল, চিনি ও আটার মতো অন্যান্য নিত্যপণ্য চড়া দামে আটকে রয়েছে।
আরো পড়ুন:পুঁজিবাজার: মূলধনী মুনাফায় দিতে হবে কর
বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা পূর্বে ছিল ৮০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকায়, যা ছিল ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ৮০ টাকা। এছাড়াও ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকায়, যা গতকালও বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা ছিল ৫০ টাকা। এছাড়াও বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ৬০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ টাকা করে। গত দুই দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, লাল লেয়ার ও খাসির মাংসের দাম। তবে আগের মতোই আছে গরুর মাংসের দাম।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন আগেও ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া ৩২০ টাকায় বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। তবে আগের মতোই ৩২০-৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। সাদা কক বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায় ও সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়দিন আগেও ১১০০ টাকা ছিল। তবে গরুর মাংস আগের মতোই ৭৫০-৭৮০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাসির মাংসের দাম বাড়ার জন্য কোরবানির ঈদের কথা বলছেন বিক্রেতারা। আব্দুল মোতালেব নামের এক বিক্রেতা বলেন, কয়েকদিন পর ঈদ। এখন কিনতে গেলে যে খাসির দাম ৫ হাজার টাকা হওয়া উচিত, সেটি অন্য আরেকজন ৭ হাজার টাকায় কিনে নিচ্ছে। যে কারণে খাসির দাম বেশি পড়ছে।
বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। কমেনি সয়াবিন তেল ও চালের দামও। জিরা, লবঙ্গসহ বেশির ভাগ গরম মসলার দাম নাগালে নেই। এতে আসন্ন কোরবানির বাজার নিয়ে চিন্তায় ভোক্তারা।