ট্যুর অপারেটর সেবার বিদ্যমান মূসক সুবিধা বহাল রাখার দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

টোয়াবের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : ভোরের কাগজ
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পর্যটন খাতে ভ্যাট-সুবিধা প্রত্যাহার করে নতুন যে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে পর্যটন খাতের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং এফবিবিসিআই ট্রাভেল, ট্যুর অ্যান্ড হসপিটালিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ট্যুর অপারেটররা বিভিন্ন খাত থেকে পর্যটন উপাদান সংগ্রহ করে পর্যটকদের সুবিধা ও আরামদায়ক ভ্রমণ সৃষ্টির কল্পে যে প্যাকেজ তৈরি করে তার মধ্যেই মূসক অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় হোটেলের রুম ভাড়া করার সময়, ট্রান্সপোর্টের টিকিট ক্রয় করার সময়, রেস্টুরেন্টে খাবারের বিল প্রদান করার সময়, বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনা ও অ্যামিউজমেন্ট পার্কের টিকিট ক্রয় করার সময় মূসক দিয়ে থাকে। এমনকি অন্যান্য পর্যটন সেবার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
আরো পড়ুন : পর্যটনকে এগিয়ে নিতে বিশেষ পরিকল্পনা
রাফেউজ্জামান বলেন, সব পর্যটন উপাদান একত্রিত করে ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের সেবা প্রদান করে থাকে। এখন যদি পর্যটন উপাদান সম্মিলিত প্যাকেজে আবার নতুন করে মূসক দাবি করা হয়, তাহলে প্যাকেজ মূল্য তথা ট্রাভেল কস্ট বহুলাংশে বেড়ে যাবে। এতে করে গোটা পর্যটন শিল্প বিশেষ করে অন্তর্গামী ও অভ্যন্তরীণ পর্যটন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
টোয়াব প্রেসিডেন্ট বলেন, যেহেতু পর্যটন শিল্প একটি ব্যাপক ও অনেকগুলো সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বিদ্যমান মূসক সুবিধা প্রত্যাহার হলে অগ্রসরমাণ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বারা সৃষ্ট। ওনার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ পরিচালনায় পর্যটনের যে দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তা দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয় পর্যটন শিল্পের দ্বারা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও রক্ষা দুটোই করা সম্ভব যা ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ, টোয়াবের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, টোয়াবের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্ণিং বডি মেম্বার শিবলুল আজম কোরেশী, টোয়াবের পরিচালক (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন) মোহাম্মাদ ইউনুছ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাজেট ঘোষণার পরপরই এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সঙ্গে টোয়াবের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে মূসক প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এসময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে টোয়াবের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করা হয়।
টোয়াবের প্রেসিডেন্ট মো. রাফেউজ্জামান সাংবাদিকবৃন্দের কাছে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ মহলে দাবিগুলো উপস্থাপনের অনুরোধ জানান।