২৫০০০ কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ধার। ছবি : সংগৃহীত
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, নাশকতা ও হামলার কারণে দেশজুড়ে কারফিউ এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। বুধবার (২৪ জুলাই) টানা তিনদিনের সাধারণ ছুটি শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সব অফিস আদালত খোলা হয়। এই ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫০০০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে টাকার স্বল্পতা ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫০০০ কোটি টাকা ধার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়েছে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা, বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
আরো পড়ুন : ক্রেডিট কার্ড বিল, ঋণ ও ডিপিএসের কিস্তি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫৭০০ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯৭ কোটি টাকা দেয়া হয়।
এছাড়া গতকাল ১৮০ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড রেপো আওতায় ৩টি ব্যাংককে ৫৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩৭৭৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদি ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ১টি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা এবং ২৮ দিন মেয়াদে ৫টি ইসলামি ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবারে ২৫৫২১ কোটি টাকা ধার দেয়া হয়।
ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধার নেয়া এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে অনেক ব্যাংক। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটায়। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।