আগস্টের মাঝামাঝি থেকে কাটতে পারে গ্যাস সংকট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
বার বার আশার বাণী শোনা গেলেও গ্যাস সংকট কাটছে না। প্রায় এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পকারখানা ও বাসাবাড়িতেও সংকট চলছে। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এলএনজি টার্মিনালটি ফিরে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি গ্যাস সংকট কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে এখন প্রতিদিন ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে এলএনজি টার্মিনাল ও প্রাকৃতিক খনি থেকে উৎপাদিত গ্যাস দিয়ে প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। এই বড় ধরনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সামিটের একটি এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। এই টার্মিনালটি এখনো দেশে আসেনি।
পেট্রোবাংলার সর্বশেষ হিসাবে ২ হাজার ৬৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ৬০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বাকি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন গ্যাস খনি থেকে। সেই হিসাবে ২৮ জুলাই এই টার্মিনাল আবার উৎপাদনে আসার কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। গ্রিডের সঙ্গে পাইপলাইন যুক্ত হলেই আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। গত বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সামিটের এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করতে আরো ১০ দিনের মতো সময় লাগবে। সেখানে কাজ চলছে।
আরো পড়ুন: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলো
সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল খান জানিয়েছেন, সাগরের নিচে ৩০ মিটার গভীরতা এবং বৈরী আবহাওয়ায় পাইপলাইনের কাজে জটিলতা রয়েছে। সাম্প্রতিক আবহাওয়ার কারণে এটি আরো একটু কঠিন অবস্থায় রয়েছে। তবে এ কাজে স্বীকৃত ও আন্তর্জাতিক লাইসেন্সধারী প্রকৌশলীরা মুরিং সিস্টেম সমস্যার সমাধানে কাজ করছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে আশা করছি।
এদিকে গ্যাস না পাওয়ায় গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। এর ফলে শিল্পকারখানা ও বাসাবাড়িতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ উভয় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই এই সংকট চলছে। রাজধানীর উত্তরা, ভাটারা, ডেমরা, হাজারীবাগ, গোপীবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বছরজুড়েই গ্যাসের সংকট থাকে। বিশেষ করে শীতকালে খোদ রাজধানীতে গ্যাস সংকট তীব্র হয়। কিন্তু চলতি বছর জুড়েই গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।