জিএম-ডিএমডি পদে নীতিমালা সংশোধনের দাবি ৩ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সোনালী, জনতা এবং অগ্রণী ব্যাংকের জিএম (মহাব্যবস্থাপক) ও ডিএমডি (উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদে পদোন্নতি ও পদায়নের নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে। দাবিটি তুলেছেন এই ৩ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তারা। তারা সম্প্রতি অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেয়া এক চিঠিতে এই দাবি উত্থাপন করেন।
কর্মকর্তারা চিঠিতে উল্লেখ করেন, বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা তুলনামূলকভাবে বড় পদে বসছেন এবং সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এটি ব্যাংকগুলোর কাজের পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
চিঠিতে বলা হয়, ২০০৭ সালে এই ৩ ব্যাংককে লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হলেও শেয়ার শতভাগ সরকারের হাতে রয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে নিজ নিজ ব্যাংকে জিএম এবং ডিএমডি পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির বিধান করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ জিএম পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়, যা আগে বাতিল করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা আরো অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির আওতায় নিয়োগ পাওয়া সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা এখনো জিএম পদে পদোন্নতি পাননি। তবে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে অন্যান্য ব্যাংকে জিএম, ডিএমডি ও এমডি পদে কাজ করছেন, যা সমতা ও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, এই ধরনের নীতিমালা একাধিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মেধা, অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ার উন্নতির স্বপ্নকে ব্যাহত করছে। এতে ব্যাংকিং খাতে হতাশা এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা দ্রুত এই নীতিমালার সংশোধন ও পূর্বের নীতিতে ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যেন সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়।
আরো পড়ুন: যাত্রীর লাগেজ থেকে অর্থ চুরি, অভিযুক্তদের মধ্যে আটক ৫
কর্মকর্তাদের আশা, সংশোধন আনলে এই সমস্যা নিরসন হবে এবং কাজের পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যাবে।