১ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ) ১ বিলিয়ন ডলার ঋণের দিতে রাজি হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘোষণা অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফরের পর আসছে, যেখানে তারা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন। তবে এই ঘোষণার পেছনে কিছু সংকটও রয়েছে।
সাম্প্রতিক পরিদর্শনে দেখা গেছে, রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য গঠিত ইডিএফ ফান্ডের অর্থ রিজার্ভ থেকে লুটপাটের শিকার হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে খেলাপি হয়ে পড়েছেন, কিছু ব্যবসায়ী অর্থ পাচার করতেও দেখা গেছে।
অন্যদিকে, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে গত এক বছরে ইডিএফ ফান্ডের আকার ব্যাপকভাবে সংকুচিত করা হয়েছে। করোনার সময়ে ইডিএফ ফান্ডের আকার ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে মাত্র আড়াই বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ১৯৮৯ সালে ইডিএফ তহবিল গঠিত হয়েছিল ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার দিয়ে, যা পরে কোভিডের সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির ফলে ২০২২ সালে ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধের পর বাংলাদেশে ডলার সংকট তীব্র হয় এবং এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নিয়োগ পায়। তিনি ইডিএফ কমানোর ওপর জোর দেন এবং তার নির্দেশনায় গত মে মাসে ইডিএফের পরিমাণ ৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার ছিল, যা জুন শেষে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। জুলাই মাসে ইডিএফের আকার দাঁড়ায় ৩.২১ বিলিয়ন ডলারে এবং আগস্টের শেষে তা ২.৯১ বিলিয়ন ডলারে এবং সেপ্টেম্বরে ২.৭৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
জানা গেছে, আইএমএফের দেয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত পূরণের জন্য গত বছর মাঝামাঝি সময়ে ইডিএফ থেকে ঋণ বিতরণ বন্ধ রাখা হয়। পরে সীমিত পর্যায়ে ঋণ বিতরণ আবার শুরু হয়।
সূত্র জানায়, আলোচিত বিসমিল্লাহ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ৪০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ আটকে রয়েছে। এর মধ্যে আটটি গ্রুপের কাছেই প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ইডিএফ ঋণ রয়েছে।