মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো কত মাস লাগবে, জানালেন গভর্নর

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর । ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারো ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে এই মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো ৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের গ্রোথ কমেনি। উদ্যোগ নেয়ার পর ১২ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ফেলার রেকর্ড বিশ্বের কোনো দেশেই নেই। আমরা কেবল ৩ মাস হলো শুরু করেছি। মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো ৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আরো জানান, আমরা শুধু মুদ্রানীতির উপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্য এলসি খোলা, শুল্ক শিথিল করা হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে শুল্ক হ্রাসসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব। গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু করেনি।
আরো পড়ুন: ৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো কত, জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক নিয়ে গভর্নর বলেন, বিগত সময়ে ব্যাংকখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দ্রুত সব সমাধান হবে না। কারণ এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার এসেট এক পরিবার ২৩ হাজার নিয়েছে সেখানে আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না এটা বলতে পারি। দুর্বল ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছে না এ কারণে তাদের তারল্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে, সব সমাধানও হয়ে যাবে।
কয়েকটি ব্যাংক এখনো ঠিক মতো গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সহায়তা করছে বলেও জানান আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, সব চেষ্টাই করা হচ্ছে। আশা করি ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে একটি ভালো ব্যাংকিং খাত দেখতে পারব। প্রথমে ১০টি ব্যাংকের সম্পদ হিসাবের অডিট করা হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সবগুলোরই করা হবে।
তিনি বলেন, বেক্সিমকো বন্ধ করতে নয়, সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোনো কোম্পানি বন্ধ করতে চাই না। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, অগ্রগতিও হয়েছে।
গভর্নর উল্লেখ করে আরো জানান, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যাংকিং ডেনসিটি বাংলাদেশে। এক ব্রাঞ্চ থেকে আরেক ব্রাঞ্চের দূরত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোসহ বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে কাজ চলছে।