রেমিট্যান্সের ডলার কেনা নিয়ে যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোকে ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে ডলারের মূল্য আরো তিন টাকা বেড়েছে, কারণ এর আগে ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ছিল ১২০ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকজন ট্রেজারি প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশে গত দুই বছর ধরে ডলারের বাজারে অস্থিরতা ছিল। তবে আন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করে ডলারের বাজার আবার অস্থির হতে শুরু করে, কিছু ব্যাংক ১২৬-১২৭ টাকায় ডলার কিনেছিল, যদিও রেমিট্যান্স কেনার সর্বোচ্চ রেট ছিল ১২০ টাকা।
ব্যাংকারদের মতে, ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের জন্য সরকারি কয়েকটি ও বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংক বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনতে শুরু করে। এতে অন্যান্য ব্যাংকগুলোও বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়, যার ফলে ডলারের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যায়।
তবে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে হঠাৎ বেশি দামে ডলার কেনায় ১৩টি ব্যাংক চিহ্নিত করে সম্প্রতি তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাখ্যা চাওয়ার তালিকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানার দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১১টি ব্যাংক ছিল। এরপর ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স দর কমিয়ে আনে। গত দুইদিন মার্কেট ভালো থাকার কারণে রেমিট্যান্সের দামও কিছুটা আগের তুলনায় কমেছে।
বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে হঠাৎ বেশি দামে ডলার কেনার কারণে ১৩টি ব্যাংককে চিহ্নিত করে সম্প্রতি তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাখ্যা চাওয়ার তালিকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১১টি ব্যাংক ছিল। এর পর ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের দাম কমিয়ে আনে। গত দুই দিনে মার্কেট কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় রেমিট্যান্সের দামও আগের তুলনায় কমেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি একটি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ডিসেম্বর মাসে অনেক পেমেন্টের মেয়াদ ছিল, তাই এই মাসে ডলারের চাহিদা বেশি ছিল। ব্যাংকগুলো পেমেন্ট যথাসময়ে পরিশোধ করার জন্য বাড়তি দামে রেমিট্যান্স কিনেছিল। তবে এখন বাংলাদেশ ব্যাংক মৌখিকভাবে জানিয়েছে যে, ১২৩ টাকায় রেমিট্যান্স কেনার জন্য। পেমেন্টের চাপের কারণে ডলার রেট বাড়ানো হয়েছে।