রেমিট্যান্স আসেনি যেসব ব্যাংকে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিদায়ী ডিসেম্বরে দেশের ৯টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স। এর মধ্যে আছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকও। বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এটাকে রেকর্ড হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, ডিসেম্বরে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে আছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক।
ডিসেম্বরজুড়ে সরকারি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং হাবিব ব্যাংকেও।
এদিকে, বিদায়ী ডিসেম্বরে দেশে আসা ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইতে এসেছিল বিগত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। সে মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
ডিসেম্বরে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭২ কোটি ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো জানিয়েছে, ডিসেম্বরের ২৯ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার ডলার। ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। ডিসেম্বরের ১৫ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬২ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর নভেম্বরে এসেছে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।