বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় ঐশীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ পিএম

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চায় ঐশীরা। ছবি: রকি আহমেদ
গাইবান্ধার মেয়ে ঐশী চন্দ্র দাস। ভর্তি হয়েছেন (১৮ ব্যাচ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল তার প্রথম ক্লাস। মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে গাইবান্ধা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন তার বাবা বিধান চন্দ্র দাস। মেয়ের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনে এসে উল্লসিত বাবা।
বিধান চন্দ্র দাস ভোরের কাগজকে বলেন, মেয়েকে অরিয়েন্টেশন ক্লাসে পৌঁছে দিতে গত শুক্রবার ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় ছিলাম। আজ মেয়ের অরিয়েন্টেশন ক্লাস। তাই তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছি। অনূভুতিটা অন্যরকম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়েছে। এটা কম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটি আমার অনেক সুন্দর লেগেছে। আশাকরি এখান থেকে আমার মেয়ে ভালো কিছু করতে পারবে।
এদিকে বাবার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনার দিনে আসতে পেরে আনন্দিত ঐশী চন্দ্র দাসও। ঐশী জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ও বাবার প্রথম দিন। বাবাকে নিয়ে ক্লাস রুম, বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরলাম। ছবি তুললাম একসঙ্গে। ইচ্ছা আছে ভালো কিছু করে বাবাকে নিয়ে আবার ছবি তুলব।
প্রথম দিনে কোনো বন্ধু হয়েছে কিনা প্রশ্নে ঐশী জানান, প্রথম দিন বাবার সঙ্গে ঘুরলাম। এখনো সেভাবে বন্ধু হয়নি। তবে হয়ে যাবে।
শুধু ঐশীই নয়, বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণ করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছে ৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী।
জাহিদ হাসান নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক নবীন শিক্ষার্থী জানান, ছোটবেলা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। অনেক আশা নিয়ে ঢাকার শহরে এসেছি। স্বপ্নটাকে ছুয়ে দেখতে চায়। বাবা-মায়ের স্বপ্ন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়ার। তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছি।
এদিকে ১৮ ব্যাচের ক্লাস শুরুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যেন আঠারোর যৌবন ফিরে পেয়েছে। সারাদিনই ক্যাম্পাসে ছিল নানা অনুষ্ঠানে নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। এছাড়া নানা বিভাগ, বাসে ছাত্রদের কমিটি, জেলা ছাত্র কল্যাণগুলোও বিভিন্ন আয়োজন ও সাজসজ্জায় নবীনদের বরণ করে নিয়েছে। নতুন ক্লাসরুম ও সহপাঠীদের সাথে পরিচিত হতে পেরে উল্লসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, বিভাগগুলো তাদের নিজস্ব আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ওই সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব স্ব বিভাগগুলোতে উপস্থিত ছিল। বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসসহ যাবতীয় বিষয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষার্থীরা যেন র্যাগিং বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার শিকার না হয় এদিকে আমরা সর্বাত্মক লক্ষ্য রাখব।