বঙ্গবন্ধু বাঙালির চেতনার বাতিঘর র্শীষক আলোচনা সভা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:২৮ পিএম

আলোচনা সভায় অনলাইনে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যের স্মরণে 'বঙ্গবন্ধু : বাঙালির চেতনার বাতিঘর' শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাককানইবি শিক্ষক সমিতি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে ময়মনসিংহ-৭ আসনের এমপি ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলা রুহুল আমিন মাদানী। জাককানইবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদসহ জাককানইবির বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন। আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত করুণ ইতিহাস। হাজার বছর ধরে বাঙালি বীরগণ এই দেশ স্বাধীন করতে বহু প্রচেষ্টা করেছিলেন কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি।
ক্ষুদিরাম ঝুলেছিলেন ফাঁসির দঁড়িতে, স্বাধীনতা আসেনি। প্রীতিলতা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য হয়েছেন, স্বাধীনতা আসেনি। সিরাজউদ্দৌলা স্বীকার হয়েছিলেন বিশ্বাসঘাতকতার, স্বাধীনতা আসেনি। এ বাংলায় সাঁওতাল বিদ্রোহসহ অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, স্বাধীনতা আসেনি। হাজার বছর ধরে শোষিত এই দেশের টুঙ্গিপাড়া থেকে বাঙালির মুক্তির দূত হিসেবে উঠে এলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সুতরাং তিনি নিঃসন্দেহে সমগ্র বাঙালি ইতিহাস, বাঙালি সত্তার একজন মুক্তির দূত।
তিনি বলেন, এই বীরকে এক সময় এ দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল একটি মহল। এখন তারাই এ দেশের ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। এদেশে যেমন বীর সেনার জন্ম হয়েছে ঠিক তেমনই বিশ্বাসঘাতকেরও জন্ম হয়েছে।
তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে উপাচার্য, আলোচকগণ বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় উপস্থিতি ও নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির চেতনার বাতিঘর নন। তিনি বাঙালির অস্তিত্বের ঠিকানা, তিনি ইতিহাসের মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুকে যারা নিষিদ্ধ করেছিল তাদের এখনকার পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালননা করেন জাককানইবির নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম তোকদার।