১৩ শিক্ষকের স্কুলে ১৪ শিক্ষার্থী সবাই ফেল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ পাশ করেনি। এতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এদিকে এ ফলাফল নিয়ে অভিভাবকের মধ্যে চরম হতাশ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা রোকসানা বেগম। তিনি মুঠোফোনে জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪ শিক্ষার্থী এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয়া কোন শিক্ষার্থীই পাশ করতে পারেনি। তিনি জানান, ৯ জন শিক্ষার্থী গনিতে ও ৫ জন শিক্ষার্থী অন্য বিষয়ে ফেল করেছে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। কেন এমন ফলাফল হলো, সে বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। ফেলের কারণ জানার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাম প্রকাশে এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করলে আজ ১৪ শিক্ষার্থীর এমন পরিস্থিতি শিকার হতো না। শিক্ষকরা সঠিকভাবে ক্লাস নিলে সবাই পাস করতো।
এ বিষয়ে ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম মিয়াকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক পুরাতন। ২০০৫ সালের দিকে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এমন ফলাফলের বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক আবদুল হাকিম জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি আসলে চরাঞ্চলে অবস্থিত, আর এখানকার প্রায় শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। ফলে তাদের অনেকেরই বিদ্যালয়ে উপস্থিতি ছিল কম। যদিও এ বছরের ফলাফল এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
তিনি আরো বলেন, তবে ওই বিদ্যালয় থেকে গতবছর ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন পাস করে। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ১৭ জন। এরকম ভরাডুবি কখনো হয়নি এ বিদ্যালয়ে। কেন এমন ভরাডুবি ফলাফল হলো সেটির কারণ জানতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।