এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:০২ এএম

এইচএসসি পরীক্ষা
বন্যার কারণে সিলেট বোর্ড ছাড়া দেশের বাকি ১০টি শিক্ষা বোর্ডের (মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ) ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৩ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছে আজ রবিবার (৩০ জুন)।
এদিন সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হবে। ২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাস করা সূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ বছর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে মোট ২ হাজার ৭২৫টি কেন্দ্রে।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। পরদিন ৯ জুলাই ওই বোর্ডের ৮২ হাজার ৪১৭ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় বসবে।
বাকি আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৩ জন।
প্রবল বর্ষণ আর বন্যার কারণে গত বছরও তিন বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ দিন পেছাতে হয়েছিল।
ওই বছর অন্য সব বোর্ডের পরীক্ষা ১৭ অগাস্ট শুরু হলেও চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭ অগাস্ট থেকে। বন্যার কারণে ২০২২ সালেও পরীক্ষা পিছিয়ে নভেম্বরে হয়েছিল।
এইচএসসিতে এবারের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১১ অগাস্ট। ১২ অগাস্ট থেকে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, শেষ হবে ২১ অগাস্ট।
২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। তবে কোভিড মহামারীর কারণে এই সূচি পাল্টে যায়।
ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়া হয়। এরপর ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।
চলতি বছর সিলেটসহ ১১ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। পরীক্ষা নেওয়া হবে মোট ২ হাজার ৭২৫টি কেন্দ্রে।
২০২৩ সালে ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন, কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেয়া হবে। শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন তারা।