প্রথম সম্মানী হিসেবে ৩০০ টাকা পেয়েছিলাম-ঐশী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম


ঐশী
একদিনেই জন্ম হয় না তারকার। জনপ্রিয়তার পেছনে থাকে পরিশ্রমের গল্প। কারো বেশি কারো কম। পরিশ্রমের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে পারিশ্রমিকের কথা। প্রথম রোজগার সব তারকার কাছেই আবেগতাড়িত একটি ব্যাপার। এই বিভাগে তারকারা জানাচ্ছেন তাদের প্রথম আয় নিয়ে অনুভূতির কথাউপার্জনের শুরুটা গান গেয়ে ছোটবেলায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে গান করতাম। তা ছোট হোক কিংবা বড় হোক, সুযোগ পেলেই সেখানে পারফর্ম করতাম। সেই সুবাধে সবাই জেনে যায় যে আমি গান গাই, গান করি। তখন থেকেই বিভিন্ন প্রোগ্রামে গান গাওয়ার ইনভাইটেশন পেতে শুরু করি। স্কুলে যদি কোনো পরীক্ষা না থাকত তাহলে যেখানেই আমন্ত্রণ পেতাম সেখানেই পারফর্ম করার জন্য ছুটতাম। ধীরে ধীরে এক সময় কমার্শিয়াল স্টেজগুলোতেও গান করার সুযোগ আসে। গান গেয়েই আমি প্রথম টাকা পাই। প্রথম সম্মানী ৩০০ টাকা কমার্শিয়াল বিষয়টা কোনোদিনও তেমন প্রাধান্য দেইনি। এক অর্থে আর্থিক বিষয় নিয়ে কখনো ভাবিনি। টাকা কামানোর জন্য কখনো গান করিনি। গানকে ভালোবাসি তাই গান করি। তবে যখন আমি মিলিনিয়াম স্টার স্কুলে (রংপুর) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য সম্মানী হিসেবে ৩০০ টাকা পাই। সেটাই আমার প্রথম রোজগার। প্রথম রোজগার নানুর কাছে রাখা প্রথম রোজগারের অনুভূতি আমার কাছে একটা মধুর স্মৃতি। ওই অনুষ্ঠানে অনেক গুণী শিল্পীরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে এত অল্প বয়সে সে দিন পারফর্ম করেছিলাম। সবাই আমার প্রশংসা করেছিলেন। আমার জন্য সেটা ছিল অনেক বড় পাওয়া। খুব আনন্দিত ছিলাম। আর তখন ওই ৩০০ টাকাই অনেক বেশি টাকা মনে হয়েছিল। এত টাকা দিয়ে তখন কী করব, কী করব ভাবছিলাম! শেষমেশ কিছুই না করে সেই ৩০০ টাকা নানুর কাছে রেখে দিই। খোঁজ নিলে হয়তো সেই টাকা এখনো পাওয়া যেতে পারে! রাব্বানী রাব্বি