লায়লার মামলায় মামুনের আত্মসমর্পণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম

প্রিন্স মামুন ও লায়লা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকের আলোচিত নাম প্রিন্স মামুন ও লায়লা। ফেসবুক ও ইউটিউব-টিকটকসহ আরো নানা মাধ্যমে বিনোদনভিত্তিক কনটেন্ট বানিয়ে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন তারা। দুজনের অসম প্রেম নিয়েও আলোচনা ছিল তুঙ্গে। তবে হুট করেই ঘটে ছন্দপতন।
মদ্যপানে যেতে বাধা দেওয়ায় গত বছর হবু স্ত্রী লায়লাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বায়োজিদ বোস্তামী।
আরো পড়ুন: গল্পের মূল চরিত্রে গরু, মুশফিকের কান্না ভাইরাল
চার্জশিটেই উঠে আসে ঘটনার চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সেই চার্জশিট আমলে নিয়ে সোমবার (৩ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন প্রিন্স মামুন। শুনানি শেষে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন।
আরো পড়ুন: তাহসানের কণ্ঠনালীতে কঠিন রোগ!
জামিন পেয়ে প্রিন্স মামুন আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা মামলাটি মিথ্যা। আসলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাকে হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিন বছর আগে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে লায়লার পরিচয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়েও চূড়ান্ত হয়। এর পর থেকে মামুন বাদীর বারিধারার ডিওএইচএসের বাসায় বসবাস করতে থাকেন।
আরো পড়ুন: প্রেমিকের তোলা ছবিতে খোলামেলা জাহুবী, নেটদুনিয়া উত্তাল
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রায়ই লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতো মামুন। পরবর্তিতে মাদক সেবনসহ অশ্লীল গালিগালাজ এমনকি লায়লাকে মারধর করা প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায় মামুনের।
তবে গত ১১ ডিসেম্বর রাতে মাত্রা ছাড়িয়ে যান মামুন। মদ পান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর শুরু করেন লায়লাকে। চালান হত্যার চেষ্টাও। তাই সে রাতের পরদিনই ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আখতার ফরহাদ মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।