সৃজিতকে ‘আব্বু’ বলে, তাহসানকে ‘বাবা’, দুইয়ের কেন্দ্রে আমি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘদিনের পরিচয়, প্রেম থেকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা-সংগীতশিল্পী তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০০৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সময়ের জনপ্রিয় এই জুটি। দীর্ঘ ১১ বছরের সংসারের পর আচমকাই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই তারকা দম্পতি।
এরপর কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন মিথিলা। প্রথম সংসারের একমাত্র কন্যা আইরাকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন অভিনেত্রী। যদিও বাবা তাহসানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো আইরার। তবে মিথিলার সঙ্গে কী প্রাক্তন স্বামীর যোগাযোগ ছিলো?
সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মিথিলা। তিনি জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে তার যোগাযোগটা ছিলো। নিয়মিত কথা হতো দুজনের মধ্যে। সেটা মেয়ে আইরার কথা চিন্তা করেই।
বিবাহবিচ্ছেদের পরও সম্পর্ক রাখা কি স্বাভাবিক? মিথিলার কাছে প্রশ্ন করা হলে জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব নাও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবার আগে। এটাই উচিত।’
আরো পড়ুন: শাকিব ও জায়েদ খানের সঙ্গে রোমান্স নিয়ে যা বললেন দীঘি

মিথিলা আরো বলেন, ‘আমি আইরাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান চৌদ্দ বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ। দু’জন দু’জনকে ভালো করে জানি। আইরা আমাদের দু’জনের কাছে সবার আগে।’
মিথিলার সবকিছু জেনেই তাকে বিয়ে করেছেন সৃজিত। বিষয়টি উল্লেখ করে এই তারকা বলেন, ‘সৃজিত সবটাই জানত। বাংলাদেশে গিয়েছে, আমার পরিবারকে দেখেছে। তাহসানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দেখেছে। বিয়ের মতো সম্পর্ক হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ থাকে, সৃজিত সবকিছু জেনেই আমাকে গ্রহণ করেছে।’
তাহসান-মিথিলার কন্যা আইরার সঙ্গে সৃজিতের দারুণ সখ্যতা। সেটা জানিয়ে মিথিলা বলেন, ‘আইরার সঙ্গে সৃজিতের চট করে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আইরা সৃজিতকে ‘আব্বু’ ডাকে আর তাহসানকে ডাকে ‘বাবা’। এই দুইয়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছি আমি।’
বর্তমানে কলকাতা ও ঢাকা, দুই বাংলায় মিলিয়েই মিথিলার জীবন। অভিনেত্রী বলেন, ‘কলকাতায় একটানা যখন থাকতাম বাংলাদেশে লোকে বলত, মিথিলাকে তো পাওয়াই যায় না। অন্যদিকে ঢাকায় থাকলে বা বাইরে গেলে কলকাতার লোক আমাকে ফোন করে পায় না। আমাকে যদি কেউ বেশ কিছুদিন আগে অভিনয়ের কথা বলে, তাহলে কিন্তু আমি ঠিক সময় বার করে ফেলি। যে কাজ করবে আর যে কাজ করাতে চায়, দু’জনের চাওয়া মিলতে হবে।’