নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় ‘দজ্জাল বউ’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
কিছু কিছু বউ আছে যারা অন্যের ওপর ছড়ি ঘুরাতে পছন্দ করে। তেমনি প্রেক্ষাপটের এক নববধূ মায়া শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই শ্বশুর-শাশুড়ি এমনকি আপন স্বামী-সঙ্গী আদিলের সাথেও নির্মম-অত্যাচার করে বেড়ায়। কেন সে এমন করছে কেউ জানে না। শ্বশুর-শাশুড়ি লোকলজ্জার ভয়ে কোনো প্রতিবাদ না করে নিরবে সয়ে যায়।
বউয়ের কথায় রাগ না করে উল্টো বউকে বুঝায়, বউয়ের সেবা-যত্ন করে। আদিলও তাকে বুঝায়, কিন্তু কোনো লাভ হয় না। দিনে দিনে বউয়ের অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দিয়ে সংসারের সব কাজ করায়। কৃষি কাজ, গোয়াল ঘরের কাজ করায় অসুস্থ বাবাকে দিয়ে। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ছেলে। কিন্তু বউয়ের কাছে যেন অসহায়।
একদিন এক রিকশাওয়ালার সাথে ঝগড়া লেগে যায় মায়া। সামান্য ২০টাকা ভাড়া নিয়ে হাত তুলে রিকশাওয়ালার গায়ে। উপস্থিত জনতা রিকশাওয়ালার পক্ষ নিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় মায়ার। অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। বউয়ের অসুস্থতা দেখে শ্বশুর-শাশুড়ি যেন পাগল প্রায়।
সারারাত ধরে পাশে বসে নির্ঘুম সেবা যত্ন করে। ঘুম থেকে উঠে মায়া দেখে তার শ্বশুর-শাশুড়ি পাশে বসে আছে। শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করার পরও তাদের আচরণে পরিবর্তন ঘটে মায়ার। সে বিস্মিত হয়ে হু হু করে কেঁদে উঠে এবং ক্ষমা চায়।
রাজীব মণি দাসের এমনি এক গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘দজ্জাল বউ’। এটি পরিচালনা করেছেন সুনিপুণ নির্মাতা নাজনীন হাসান খান।
এ প্রসঙ্গে নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে বউয়ের অত্যাচারের বিপরীতে শ্বশুর-শাশুড়ি রাগ করার কথা, বউকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার কথা, কিন্তু আমরা এখানে দেখেছি- ছেলে এবং বউয়ের সুখের জন্য বাবা-মা-ই সরে যেতে চাইছে, তারপরও যেন ছেলে সুখে থাকে। কিন্তু ছেলে তাতে রাজী হয় না। আবার লোকলজ্জার ভয়ে জোরালোভাবে প্রতিবাদও করতে পারছে না। অর্থাৎ স্বভাবগত জীবনের বাহিরের জীবন-দর্শনকেই পজিটিভভাবে এইখানে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।’
পরিচালক নাজনীন খান বলেন, ‘নাটক হচ্ছে সমাজের আয়না। সেই আয়নায় আপনি নিজেকে যেভাবে দেখতে চাইবেন, সেইভাবেই দেখতে পারবেন। প্রয়োজন শুধু মন-মানসিকতার। আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে নাটক নির্মাণ করতে। যে নাটক আপনার আমার কথা বলবে, সমাজের কথা বলবে, বিনোদনের পাশাপাশি মূল্যবোধ শিখাবে।’
এতে অভিনয় করেছেন আ.খ.ম. হাসান, রেজমিন সেতু, শফিক খান দিলু, রেশমা আহমেদ, ফরিদ হোসাইন, আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।