×

বিনোদন

মাদকমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে হিপ হপ গায়ক জুয়েল

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম

মাদকমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে হিপ হপ গায়ক জুয়েল

হিপ হপ গায়ক জুয়েল

   

১৯৭৩ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা দেখছি মাদক বিক্রেতারা প্রতিটি এলাকায়, এমনকি রাস্তার প্রতিটি মোড় বা গলিতে মাদক বিক্রি করছে। ১৯৭৩ সালে তারা বাংলা মদ ও গাঁজা বিক্রি শুরু করে।

এরপর ১৯৮৬ সালে ফেন্সিডিল এবং ২০০০ সালে ইয়াবা বিক্রি শুরু হয়, যা এখনও চলছে। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা উদযাপন করছি। এখন এই সময়ে মাদকমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার ও বাস্তবায়ন সম্ভব।

দেশে পুলিশ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ রয়েছে, যারা মাদক বিক্রি বন্ধ করতে পারে? আমরা বছরের পর বছর ধরে দেখছি এই মাদক বিক্রেতারা বিপজ্জনক মাদক বিক্রি করছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, পুলিশ স্টেশন, কাউন্সিলর, কমিউনিটি নেতা এবং আইনপ্রণেতারা আছেন - তবুও এর কোন সুরাহ নাই । মাদক বিক্রি এখনও চলছে।

এটাই আমাদের দেশ, আমাদের তথাকথিত নেতা, আইনপ্রণেতা, এবং মন্ত্রী, এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণায় শুধু এর সমাধানের কথা বলে। পত্রিকার শিরোনাম ও সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দেয়। তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির আর ফাঁকা কথায় আমরা ক্লান্ত। আমাদের সন্তানরা মাদকের কারণে মারা যাচ্ছে। আর এই দুর্নীতিগ্রস্ত কাউন্সিলর এবং আইনপ্রণেতারা তাদের মৃতদেহের উপর দিয়ে টাকা বানাচ্ছে।

যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে এটা দুর করা সম্ভব। এটা খুব স্পষ্ট এই আইনপ্রণেতা, কাউন্সিলর, দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসাররা একসাথে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, যারা ভারত ও মিয়ানমার থেকে মাদক এনে, ধাপে ধাপে প্রতিটি এলাকায় বিতরণ করে। পুলিশ এতে জড়িত, কমিউনিটি নেতারা জড়িত, এমপিরাও জড়িত। এরা একত্রে একটি বড় সিন্ডিকেট।

আমরা ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা উদযাপন করছি। আমরা এই বন্ধন থেকে মুক্তি পেয়েছি, কিন্তু পুরোপুরি মুক্ত নই। আমাদের স্বাস্থ্যমুক্ত, মাদকমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, অপহরণমুক্ত, নিরাপত্তামুক্ত হতে হবে। এসব মুক্তির পরে আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতা আসবে। এটা শুধু আমার না পুরো জেন-জি'র স্বপ্ন।

চলুন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলি। কিভাবে আমরা আমাদের দেশকে মাদকমুক্ত করতে পারি? আমরা অতীতে দেখেছি, যখন পুলিশ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি বা স্থানে অভিযান চালায়, তখন প্রচুর পরিমাণে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা এবং কোকেন উদ্ধার হয়। কিন্তু সেই মাদকগুলো পুলিশ স্টোররুম থেকে হারিয়ে যায়।

এই মাদকগুলো কি ভূত চুরি করে? না, এটা সেই একই পুলিশ যারা মাদক উদ্ধার করে, তারপর সেই মাদক আবার রাস্তার কোনে বিক্রি হয়। যদি পুলিশ তাদের কাজ সঠিকভাবে করতো তাহলে এর সুফল আমরা পেতাম। তাদের মনে রাখা উচিত  এটা একটি সেবামূলক কাজ, ব্যবসা নয়।

আমাদের কমিউনিটিকেও পুলিশের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যদি কমিউনিটি তাদের নিজ এলাকায় সচেতন না হয়, তাহলে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার এবং মাদক বিক্রেতারা আপনার এলাকাকে মাদকের ভাইরাসে ধ্বংস করে দেবে। তাই একটি শক্তিশালী কমিউনিটি গঠন করতে হবে, যারা মাদক থেকে তাদের এলাকা রক্ষা করবে। রিকশাচালক থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, সবাইকে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামে যুক্ত করতে হবে। 

পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগকে অনুরোধ করব, যখন আপনারা কোনো এলাকায় মাদক উদ্ধার করবেন, তখন জনগণের সামনে সেই মাদক পুড়িয়ে ফেলবেন। সময় বদলে যাচ্ছে এখন মানুষ আগের মত ঘুমাচ্ছে না। ২০২৪ সালে মানুষ পুরোপুরি জেগে উঠেছে। আমরা আমাদের এলাকায় মাদক চাই না।

পুলিশি কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সম্প্রদায়ও সতর্ক হোন। দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসার ও মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকাকে মাদকের ভাইরাসে মেরে ফেলবে। তাই একটি শক্তিশালী সম্প্রদায় তৈরি করে এলাকাকে মাদক থেকে রক্ষা করতে হবে।

রিকশাচালক থেকে কবি বুদ্ধিজীবী ব্যবসায়ী ছাত্রদের কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাথে সব ধরণের লোককে জড়িত করে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামে ৬০ থেকে ১০০ জন থাকতে পারে। এটা নির্ভর করে এলাকা কত বড়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App