ওবায়দুল কাদেরের দেশে লুকিয়ে থাকার বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম

ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ দিতে পারলে সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্টের পর তিন মাস দেশেই লুকিয়ে ছিলেন, এই খবর সরকার জানত না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশে ছিলেন তা জানত না সরকার। জানলে তিনি পালিয়ে যেতে পারতেন না, তাকে গ্রেপ্তার করা হতো।
এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহীর বিজিবি সদরদপ্তর পরিদর্শনের সময় ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ দিতে পারলে সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সে সময় তিনি জানান, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে যদি কেউ ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান জানাতে পারেন, তবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৫ দিনের মধ্যে আইজিপিকে ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন : ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন ব্যাখ্যা চাইলেন ট্রাইব্যুনাল
জানা গেছে, চলতি বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিন মাস ৫ দিন দেশেই লুকিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। গত ৮ নভেম্বর ওবায়দুল কাদের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। এর আগে তিনি এক বিশেষ স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছান শিলং। সেখান থেকে যান কলকাতা।
জানা গেছে, দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। এক্ষত্রে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি।
এরআগে গত ৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আগ্রাবাদ অ্যাক্সেস রোডের এ আর টাওয়ারে একটি বাড়িতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবস্থান করছেন এমন সন্দেহে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদা বাবুকে (৭০) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ওই সময় নুরুল হুদাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ১০ নভেম্বর সকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের।