দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায়
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে অসন্তোষ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
অভিযোগ দেয়ার পরেও তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি তারা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) মো. তসলিম উদ্দিন খান ও সাবেক পরিচালক (এমআইএস) মো. শাহাদাত হোসাইনের রেজিস্টার কেলেঙ্কারি, টেন্ডার বাণিজ্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলেন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিপীড়িত ও বৈষম্যর শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দর ব্যানারে দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) তসলিম উদ্দিন খান এবং সাবেক পরিচালক (এমআইএস) শাহাদাত হোসাইনের দুর্নীতির ফলে পরিবার কল্যাণ সহকারী রেজিস্টার (৯ম সংস্করণ), সাপ্লিমেন্টরি রেজিস্টার ও বিভিন্ন ধরনের এমআইএস ফরম সরবরাহ না নিয়েই ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিপুন প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে সম্পূর্ণ চুক্তিমূল্য পৌনে ২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
নিপুণ প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে এই কাজটি পেতে সহযোগিতা করেছে উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিটের তৎকালীন উপপরিচালক (বৈদেশিক সংগ্রহ) শাহাদাত হোসাইন ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (সংযুক্ত-উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিট) মো. রফিকুল ইসলাম। মো. শাহাদাত হোসাইন দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি এবং মো. রফিকুল ইসলাম দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন।
নিপুণ প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী ইকবাল হায়দার চৌধুরী এবং পরিচালক (এমআইএস) মো. তসলিম উদ্দিন খান একই এলাকার (সিরাজগঞ্জ) হিসেবে সকলে জানতো। চুক্তি মোতাবেক ৮ সপ্তাহের মধ্যে সকল মালামাল দেয়ার কথা থাকলেও মালমাল রিসিভ না করেই তৎকালীন অতিরিক্ত পরিচালক (ড্রাগস এন্ড স্টোরস) এর দায়িত্বে থাকা মো. তসলিম উদ্দিন খান মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মালামাল বুঝে পাওয়ার প্রত্যয়ন দেন যার ফলে সমুদয় বিল পরিশোধ করা হয়েছে।