×

ভারত

ইরানের জন্য রাজপথে ভারতের যে অঞ্চলের মানুষ

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৯ এএম

ইরানের জন্য রাজপথে ভারতের যে অঞ্চলের মানুষ

ইরানের নির্বাচনও কার্গিলে বিরাট বড় একটা ‘ক্রেজ’! ছবি : সংগৃহীত

   

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হতে পারে, এই আশঙ্কার মেঘ যখন ঘনিয়ে আসছে – তখন ভারতেরই একটি প্রত্যন্ত অংশে মানুষ কিন্তু প্রায় রোজ নিয়ম করে ইরানের সমর্থনে পথে নামছেন, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ্ খামেনির ছবি নিয়ে মিছিল করছেন কিংবা হিজবুল্লাহ-র হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

এতটাই, যে বাইরে থেকে এলে কেউ চট করে হয়তো বুঝতেই পারবেন না জায়গাটি ভারতে, না ইরানে!

সাধারণ গড়পড়তা ভারতীয়রা যখন ইসরায়েলের গোঁড়া সমর্থক বলে পরিচিত এবং ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যমও লাগাতার ইসরায়েল-ঘেঁষা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে – তখন ভারতের এই প্রান্তটি কিন্তু গোটা দেশের মধ্যেই এক অদ্ভুত ব্যতিক্রম।

জায়গাটি আর কোথাও নয় – চীন ও পাকিস্তান সীমান্তঘেঁষা লাদাখের কার্গিলে, যা ঠিক ২৫ বছর আগের এক গ্রীষ্মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মারাত্মক লড়াইয়েরও সাক্ষী থেকেছে। লাদাখের কার্গিল জেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই শিয়া মুসলিম, আর ইরানের সঙ্গে তাদের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও আত্মিক যোগাযোগও খুব গভীর। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে তারা যে ইরানের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন ও নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন, তার একটা গভীর পটভূমি আছে।

আরো পড়ুন : গাজাবাসীকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ জাতিসংঘ: রাশিয়া

কার্গিল শহরের কেন্দ্রস্থলে ব্যস্ততম মোড়ের নাম যে ‘খামেনি চক’ – কিংবা সবচেয়ে বড় সমাবেশস্থলের নাম ‘হুসেইনি পার্ক’। ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলছিল জোর কদমে – এখন প্রয়াত ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে সেই ভোট লড়ছিলেন মহসেন রেজি আর আবদোলনাসের হেম্মাতি। মজার ব্যাপার হলো, কার্গিল শহরের দেওয়াল পর্যন্ত তখন ছেয়ে ছিল ‘ফেভারিট’ রাইসির পোস্টারে।

এমন কী রেজি বা হেম্মাতিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে দেওয়াল লিখন বা পোস্টারও চোখে পড়েছিল তখন, যা থেকে বোঝা যায় তারা ভোটার না হতে পারেন - কিন্তু সুদূর ইরানের নির্বাচনও কার্গিলে বিরাট বড় একটা ‘ক্রেজ’!

মাসকয়েক আগে সেই ইব্রাহিম রাইসি যখন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হলেন, তাকে শেষ বিদায় জানাতেও কার্গিল চোখের জলে পথে নেমেছিল। শোকের কালো পোশাক পরে হাজার হাজার শিয়া নারী-পুরুষ ‘লাবাইক ইয়া খামেনি’ ধ্বনিতে মুখর করে তুলেছিলেন শহরের আকাশ-বাতাস।

ভারতের অন্যত্রও প্রচুর শিয়া মুসলিম আছেন, বস্তুত ইরানের বাইরে বিশ্বের যে দেশে সবচেয়ে বেশি শিয়া বসবাস করেন সেটি হলো ভারত। সংখ্যায় তারা মোট তিন থেকে চার কোটির মতো হবেন বলে ধারণা করা হয়।

কিন্তু ভারতের লখনৌ বা হায়দ্রাবাদের মতো শহরগুলোতে যে শিয়ারা থাকেন তারা কার্গিলের শিয়াদের মতো এতটা সংঘবদ্ধ বা এককাট্টা নন – আর যে কোনো কারণেই হোক ইরানের সঙ্গে তারা সম্ভবত অতটা একাত্মতা বোধ করেন না, কিংবা থাকলেও তা দেখান না। কিন্তু ইরান তথা ইরানের বিপ্লবের আদর্শের প্রতি সংহতি জানাতে কার্গিলের শিয়ারা কিন্তু কখনোই দ্বিধা বা সঙ্কোচে ভোগেনি – পাশাপাশি এটাও ঠিক, ভারতের প্রতি তাদের ‘দেশপ্রেম’ নিয়েও কেউ কখনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি।

বিগত কয়েক দশকে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা, বাণিজ্যিক বা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা যত বেড়েছে, ততোই ভারতের অধিকাংশ মানুষজন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে খোলাখুলি ইসরায়েলকে সমর্থন জানাচ্ছেন – কিন্তু সেখানেও কার্গিল কিন্তু ইসরায়েলের বিরোধিতায় কখনো আপোষ করেনি।

প্রশ্নটা যখন ইসরায়েল বিরোধিতার, তখন শুধু ইরান নয় – তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের হয়েও নিয়মিত পথে নেমেছেন, আওয়াজ তুলেছেন।

ভারতের একটি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের মানুষজন কীভাবে ইরানের সঙ্গে এই নিবিড় আত্মীয়তা গড়ে তুললেন এবং এত বছর ধরে তা টিকিয়ে রাখলেন, মধ্যপ্রাচ্যে দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই বা তার কী প্রভাব – সংবাদমাধ্যম বিসিসির এই প্রতিবেদনে থাকছে তারই অনুসন্ধান।

কার্গিল কোথায়, কারা থাকেন?

কার্গিল ভারতের উত্তরতম প্রান্তে এক দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল, যা সিন্ধু নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। ভারত-শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে যে জাতীয় সড়ক সীমান্ত ঘেঁষে লাদাখের রাজধানী লেহ পর্যন্ত গেছে, কার্গিল মোটামুটিভাবে তার মাঝামাঝি জায়গায়। ভারতের কৌশলগত নিরাপত্তার দিক থেকেও কার্গিলের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ, চীন-ভারত-পাকিস্তানের প্রকৃত সীমানা যেখানে মিশেছে তার খুব কাছাকাছি।

কার্গিল যে লাদাখের অন্তর্গত, ২০১৯ সাল পর্যন্ত তা ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তর্গত। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ স্বীকৃতি বাতিল করার সময় লাদাখকে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত প্রদেশের মর্যাদা দেয়া হয়। এখন এই লাদাখের দুটি প্রধান জেলা – বৌদ্ধ-অধ্যুষিত লেহ আর মুসলিম-অধ্যুষিত কার্গিল। কার্গিলের মুসলিমদের মধ্যে আবার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশই শিয়া, বাকিরা সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত।

কার্গিলের প্রায় দেড় লক্ষের মতো জনসংখ্যার মধ্যে মোটামুটিভাবে ৪৮ শতাংশ হলেন শিয়া, যারা ‘ইমামিয়া সেক্ট’ অনুসরণ করে থাকেন। বাকি অর্ধেক জনসংখ্যার মধ্যে সুন্নি মুসলিম, বৌদ্ধ ও সামান্য কিছু হিন্দুও আছেন। কিন্তু সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে শিয়া সম্প্রদায়ই যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও দৃশ্যমান, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

কার্গিলে শিয়াদের মসজিদগুলোর বাইরে ও ভেতরে চোখে পড়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি কিংবা ইরানে ইসলামী বিপ্লবের নায়ক আয়াতোল্লাহ রুহোল্লা খামেনির বিরাট বিরাট প্রতিকৃতি – যে দৃশ্য কিন্তু লখনৌ বা হায়দ্রাবাদের শিয়া মসজিদগুলোতে দেখা যায় না! বেশ কয়েকটি শিয়া সামাজিক বা ধর্মীয় সংগঠনও খুব সক্রিয়, যারা আজও সেখানে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ভাবধারা প্রচার করে চলেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও প্রভাবশালী হল ‘ইমাম খামেনি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ (আইকেএমটি) এবং ‘জামিয়াল-উল-উলামা ইশনা আশারিয়া কার্গিল-লাদাখ’ (জেইউআইএকে)।

আরো পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ৬৫ ফিলিস্তিনি

এছাড়াও আঞ্জুমান শাহিদ জামান ও আরো বেশ কিছু শিয়া সংগঠনও কার্গিলে প্রচুর সামাজিক ও শিক্ষামূলক কাজকর্ম করে থাকে।

ইরানের কাডস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সুলাইমানি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হলে আমেরিকাবিরোধী সমাবেশের আয়োজন কিংবা ২০০রও বেশি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আছড়ে পড়লে ‘বিজয় মিছিল’ – কার্গিলে এই সব কর্মসূচি পালিত হয় এই সব সংগঠনের উদ্যোগেই। তাছাড়া খামেনির স্মরণসভা, ইসলামী বিপ্লবের বার্ষিকী উদযাপন, শিয়াদের অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন – এগুলো তো সারা বছর লেগেই থাকে।

লাদাখের লেহ যেমন ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বা ভাষাগতভাবে লাগোয়া তিব্বতেরই একটি অংশ ছিল বলা চলে, লাদাখের কার্গিল কিন্তু এগুলোর অনেক দিক থেকেই সুদূর ইরানের সঙ্গে একাত্মতা তৈরি করেছে। আর এই সম্পর্কও একদিনে নয়, তৈরি হয়েছে পাঁচশো বছরেরও বেশি সময় ধরে!

কীভাবে তৈরি হলো ‘ইরান কানেকশন’?

ঐতিহাসিকরা বলেন, ইরান থেকে শিয়া ইসলাম কার্গিলে প্রবেশ করে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে। এটা হয়েছিল মূলত সামরিক অভিযান, মিশনারি বা ধর্মপ্রচারমূলক কার্যকলাপ এবং বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে। ষোড়শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পারস্য থেকে বিখ্যাত শিয়া মনীষী ও ধর্মপ্রচারক মীর শামসউদ্দিন আরাকি কার্গিল ও গিলগিট-বালটিস্তান সফরে এসেছিলেন, তিনি ওই পুরো অঞ্চলে বিরাট প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন। শামসউদ্দিন আরাকির প্রভাবে স্থানীয় শাসক, বিভিন্ন উপজাতির প্রধান বা গ্রামের মোড়লরা শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ধীরে ধীরে ওই অঞ্চলে শিয়া ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

অবশ্য তারও আগে চতুর্দশ শতাব্দীতে পারস্যের বিখ্যাত শিয়া পণ্ডিত, সূফি কবি ও ভূপর্যটক সৈয়দ আলি হামাদানিও ইরান থেকে কাশ্মীর-লাদাখে এসে সেখানে শিয়া শিয়া ইসলামের বীজ বপন করে গিয়েছিলেন।

মুম্বাইয়ের ‘গেটওয়ে হাউস’ থিঙ্কট্যাঙ্কের গবেষক আদিত্য সিন্ধে মনে করেন, ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লব বা ‘রিভোলিউশন’ কার্গিলের এই ‘ইরান কানেকশন’কে সম্পূর্ণ আলাদা একটা মাত্রা দিয়েছিল।

তিনি জানান, ইসলামী বিপ্লব কার্গিলে যে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই বিপ্লব ইরানে ‘বিলায়েত আল ফাকি’ বা ‘প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিভাবকত্বে’র ডকট্রিন চালু করেছিল – যা সে দেশে গভর্ন্যান্সের পুরনো ধ্যানধারণাকেই পাল্টে দেয়।

তিনি বলেন, সাবেকি শিয়া চিন্তাধারায় বলা হত, ধর্মীয় নেতারা সরাসরি রাজনীতি বা দেশ পরিচালনা থেকে দূরে থাকবেন। কিন্তু আয়াতোল্লাহ রুহোল্লা খামেনি বললেন, না, দ্বাদশ ইমামের অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়গুলোর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ থাকবে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতেই!

আদিত্য সিন্ধে আরো বলেন, এই বিপ্লব সারা বিশ্বেই ‘শিয়া আত্মপরিচয়’কে সম্পূর্ণ একটা নতুন চেহারা, গর্ব ও আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল – এবং ভারতের যে অঞ্চলটি বিপ্লবের এই নতুন ভাবধারায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল, তা হলো কার্গিল।

এরপর থেকেই কার্গিলের স্থানীয় বহু ইমাম বা ধর্মীয় নেতারা বিরাট সংখ্যায় ইরানের কুম, ইস্পাহান বা তেহরানের মতো বিভিন্ন ইসলামিক সেমেনারিতে ধর্মীয় পাঠ নিতে যেতে শুরু করেন। অনেকে যেতে থাকেন ইরাকের শিয়া-অধ্যুষিত শহর নাজাফেও।

সেই প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে, তার সঙ্গে হালে যোগ হয়েছে ইরানের বিভিন্ন মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কার্গিলের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার ঝোঁক। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর তুলনায় কম খরচও অবশ্য এর একটি কারণ।

কোভিড মহামারিতে লকডাউন ঘোষণার পর ইরানে যখন কয়েক হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী আটকে পড়েন, দেখা যায় তার মধ্যে প্রায় নব্বই শতাংশই জম্মু-কাশ্মীর বা লাদাখের। তাদের মধ্যেও আবার বেশির ভাগই ছিলেন কার্গিলের। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য ইরানে গেলে ভাষার দিক থেকে সুবিধা হবে, এই ভাবনা থেকে কার্গিলের বহু স্কুলে ছোটবেলা থেকে ফারসি ভাষাও শেখানো হয়। বহু মানুষ অনর্গল ফারসিতে কথাবার্তাও বলতে পারেন।

ফলে ধর্ম কিংবা ভাষা, শিক্ষা-সংস্কৃতি-রাজনীতি বা বিচারধারা – নানা ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে কার্গিলের ঘনিষ্ঠতা কেন ক্রমে নিবিড় থেকে নিবিড়তর হয়েছে, তা বোঝাটা মোটেই কঠিন নয়!

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App