প্রশ্ন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি ভারতের বিজেপি সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগের কারণে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন তীব্র হয়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার (১ ডিসেম্বর) জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি বাংলাদেশ ও ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে একটি তুলনা করেছেন। তিনি তার দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, হিন্দুরা বাংলাদেশে নিপীড়নের শিকার হলেও, যদি আমরা এখানে (ভারতে) সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে একই কাজ করি, তাহলে দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য কোথায় থাকবে?
মেহবুবার এই মন্তব্য ভারতের বিজেপি নেতাদের তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে। তারা মেহবুবার মন্তব্যকে ‘দেশবিরোধী’ বলে অভিহিত করেছে।
এছাড়া, মেহবুবা মুফতি রাজস্থানের আজমির শরিফের সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির দরগা নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজমির শরিফ দরগায় সব ধর্মের মানুষ প্রার্থনা করেন, এটি ভ্রাতৃত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কিন্তু এখন সেখানে মন্দির খোঁজার জন্য খনন কাজ চালানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
মেহবুবা মুফতি উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে ঘটিত একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেখানে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী এক আদালতে দাবি করেছিল যে, মুঘল আমলের শাহি জামে মসজিদটি ছিল একটি প্রাচীন মন্দিরের স্থানে। এর পরবর্তী সময়ে, সেখানে স্থানীয় মুসলিমদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে ছয়জন মুসলিম নিহত হন। মেহবুবা এই ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মেহবুবার এসব মন্তব্য, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পরিস্থিতির তুলনা, রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচিত হয়েছে এবং বিজেপির সমালোচনার মুখে পড়েছে।