'বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে ভারতের ৪টা ড্রোনই যথেষ্ট'

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে ধ্বংস করতে ভারতের মাত্র চার থেকে পাঁচটি ড্রোনই যথেষ্ট বলে এক বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী । সম্প্রতি তিনি দাবি করেন, কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম থেকে এমন ড্রোন পাঠালেই বাংলাদেশের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যাবে। ১২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বাংলাদেশকে ধ্বংসের এসব হুমকি দেন।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠেছে। ওদের যুদ্ধ থামাতে ভারতের ট্যাংক বা বন্দুকের দরকার নেই। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম থেকে ৪-৫টা ড্রোন পাঠালে সব খেলা শেষ হয়ে যাবে।
ভারত অত্যন্ত দায়িত্বশীল দেশ। দুর্বল দেশকে কখনো আক্রমণ করে না। কিন্তু কী করা যাবে, পিপীলিকার ডানা গজায় মরিবার তরে। বাংলাদেশের এই নাবালক অর্বাচীনগুলো ভারতের সামরিক শক্তি সম্পর্কে ধারণা নেই। ওরা জানে না, আমাদের বিএসএফ বা সেনা পাঠানোর দরকার হবে না। ওরা জানে না, ভারত এখন ড্রোনে কত উন্নত। যদি ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে, তাহলে গোটা পাঁচেক ড্রোন পাঠিয়ে দিলেই ওদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু বলেন, ওরা আমাদের বালুরঘাট সীমান্তের সামনে কয়েকটা ট্যাংক নিয়ে এসে খড়ের গাদা দিয়ে ঢেকে রেখেছে। ওরা জানে না যুদ্ধ করতে এখন ট্যাংক লাগে না। আমাদের ট্যাংক লাগে না। ওরা এখনো ৬০-৭০ সালে পড়ে আছে। এখন ট্যাংক দিয়ে যুদ্ধ হয় না। বন্দুক দিয়ে যুদ্ধ হয় না। যুদ্ধ করতে এখন আর ম্যান পাওয়ার লাগে না। ভারত কয়েকটা ড্রোন পাঠাবে, তাহলেই ওরা গল্প হয়ে যাবে। অশিক্ষিত মূর্খ রাজাকারের বাচ্চাগুলো ভারতের শক্তি সম্বন্ধে জানে না। এখানে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে বোতাম টিপলেই টপাটপ ড্রোন বের হবে। ওদের দফারফা শেষ হয় যাবে।
বিজেপির এই নেতা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা খুন করেছিল, ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত, তারা পশ্চিমবঙ্গে ১৫ বছর ধরে বসবাস করছিল। একজন হাওড়াতে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সেজেছিল, ওখানেই মারা গেছে। আরেকজন মাস্টার মাজেদ পাক সারকাসে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে লুকিয়ে ছিল। তাকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরবর্তিতে তাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছিল।