রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে ড্রোন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০২:৫০ পিএম

প্রতীকী ছবি

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মার্কিন ড্রোন

ইউক্রেনের একটি অঞ্চলের চিত্র

ইউক্রেনীয় সেনা

ফিনিক্স ঘোস্ট
কিয়েভ-মস্কো সংঘাতের অন্যতম পর্যায়ে এসে ইউক্রেনের জন্য ৮০ কোটি ডলারের সামরিক অস্ত্র পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না নামলেও গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে ২৫ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকার সামরিক সাহায্য পাঠিয়েছে আমেরিকা।
যুক্তরাষ্ট্র এম-৭৭৭ হাউৎজার কামান এবং হামভি সামরিক যানের মতো অস্ত্র ইউক্রেনকে পাঠাবে বলে শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এক লাখ ৪৪ হাজার গোলা পাঠাবেন বলেও বাইডেন জানিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
[caption id="attachment_346203" align="aligncenter" width="700"]
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এর মধ্যে সেরা অস্ত্র ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’। অস্ত্রটি তাদের অন্যতম শক্তিশালী ড্রোন। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে অ্যাভেক্স এরোস্পেস সংস্থা বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোনটি তৈরি করেছে।
এর আগে কোথাও এ বিশেষ ড্রোন ব্যবহার হয়নি বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এ ড্রোন প্রথম নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে চলেছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বাধার আগেই তৈরি হয়েছিল এ ড্রোন।
[caption id="attachment_346204" align="aligncenter" width="700"]
রশিয়ার ওপর হামলা করতে যুক্তরাষ্ট্র ১২১টিরও বেশি ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ ড্রোন ইউক্রেনকে পাঠাবে বলে জানিয়েছে। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, এ মুহূর্তে ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ একমাত্র ইউক্রেনের ডনবাস উপত্যকাকে বাঁচাতে পারে।
এক একটি ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ মাত্র একবারই ব্যবহার করা সম্ভব। শত্রুপক্ষের ট্যাংক বাহিনী, বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে ধূলিসাৎ করতে ড্রোনটির একটি আঘাতই যথেষ্ট বলে দাবি করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তারা বলছে, ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ তৈরির খরচ তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু এর আঘাত হানার ক্ষমতা অনেক। যে সংস্থা ড্রোনটি তৈরি করেছে, সেই অ্যাভেক্স অ্যারোস্পেসের দাবি, এ ড্রোন যে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
[caption id="attachment_346205" align="aligncenter" width="700"]
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ড্রোনের আরও কিছু সাফল্য আছে। তবে এখনই তা বলতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের মাটিতে এ ড্রোন নিজের খেল দেখিয়ে সবাইকে চমকে দেবে বলেও নির্মাণকারী সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন ড্রোন পরিচালনা করা খুব সহজ। তাই এর জন্য ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। শুধু একটি সুইচ টিপে শত্রুদের হাল, বেহাল করতে পারবে নতুন প্রজন্মের এ মার্কিন ড্রোন।
[caption id="attachment_346207" align="aligncenter" width="700"]
ড্রোনের নাম ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ কেন
এ ড্রোনের নাম ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ রাখা হল কেন তা নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেনি মার্কিন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা। অনেকে ধারণা করছেন, ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির ওড়ার কথা ভেবেই এ নাম রাখা হয়েছে। কারণ ‘ফিনিক্স’ পুনরুত্থান ও ধ্বংসের পরে জীবনের লড়াইয়ের প্রতীক।
আবার ‘ঘোস্ট’ অর্থাৎ অশরীরীর আঘাত নিশ্চুপে আসে। তাই রুশ আগ্রাসনের ফলে চাপের মুখে থাকা ইউক্রেনের হাতে যাওয়া এমন ড্রোনের বাড়তি তাৎপর্য থাকছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এ ড্রোন কতটা কার্যকর তা দেখার সময় এখনও আসেনি। কারণ এখনও প্রায় একপাক্ষিকভাবেই রুশ আগ্রাসন চলছে।
[caption id="attachment_346206" align="aligncenter" width="700"]
মারিউপোল দখলের পর এবার ভ্লাদিমির পুতিনের নজর পূর্ব ইউক্রেনে। তার নির্দেশে সেখানকার ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক শহরে ইতোমধ্যেই হামলা বাড়িয়ে তুলেছে রুশ সেনারা।
এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের ওপরই নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। সেই অঞ্চল বাঁচাতেই কাজে লাগতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এসব অস্ত্র।