৯ সেকেন্ডেই ভেঙে ফেলা হবে ৪০ তলা টুইন টাওয়ার!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১:৪৩ এএম

টুইন টাওয়ার

টুইন টাওয়ার
আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই ভেঙে ফেলা হবে নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার। এটিকে ভারতের দীর্ঘতম টাওয়ার বলে গণ্য করা হয়। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হবে এটি। এই টাওয়ার ভেঙে ফেলার সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই টাওয়ার দুটি যথেষ্ট দৃষ্টিনন্দন। প্রায় দু দশক ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে সুপারটেকের আইনী লড়াই চলেছে। শেষ পর্যন্ত এটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ। ৯ সেকেন্ডে এটি ভেঙে ফেলা হবে বলে জানান বিভিন্ন সুত্র।
জোড়া বহুতলের একটির নাম অ্যাপেক্স, উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির নাম সিয়ানে, উচ্চতা ৯৭ মিটার। যমজ টাওয়ার কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ, যে সংস্থা এমারল্ড কোর্ট চত্বরের টুইন টাওয়ার তৈরি করেছিলেন, তাদের তা নিজেদের খরচে ভাঙতে হবে। এই বিষয়ে সাহায্য করবে নয়ডা পুর কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু কেন?
জানা গিয়েছে, সুপারটেক এমারল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি ১৪ তলা ভবনের অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু কথার খেলাপ করে নির্মাণ সংস্থা। তারা দাবি করে, তাদের কাছে ৪০ তলা টুইন টাওয়ারের অনুমোদন রয়েছে। যদিও তা মানতে চায়নি হাউজিং সোসাইটি। ওই জায়গায় গগনচুম্বী টুইন টাওয়ার হাউজিংয়ের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে বলে দাবি করা হয়। যদিও সেকথা মানতে চায়নি নির্মাণকারী সংস্থা। এরপরই মামলা ওঠে আদালতে। ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করে এমারল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি। টুইন টাওয়ারের নির্মাণ বেআইনি বলে দাবি করা হয়। এর ফলে ২০১৪ সালে হাউজিং সোসাইটির পক্ষে রায় দেয় হাই কোর্ট। টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে নির্মাণ সংস্থা। প্রায় নয় বছর ধরে সেখানে মামলা চলে। অবশেষে গত বছর আগস্ট মাসে এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। আগামী তিন মাসের মধ্যে টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও বিশাল অট্টালিকা গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিতে এক বছর লাগিয়ে দেয় নির্মাণ সংস্থা। সুত্র : হিন্দুস্থান টাইমস ও সংবাদ প্রতিদিন।