উ. কোরিয়ায় অস্ত্রই ডেকে আনতে পারে ‘ভয়ংকরতম দুর্ভিক্ষ’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৪২ এএম

ফাইল ছবি
অস্ত্রের নেশাই কাল হয়েছে উত্তর কোরিয়ার জন্য। ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে খাদ্য সংকট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে দেশটিতে অনাহারে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটবে। আর এই ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে স্বৈরশাসক কিম জং উনের খামখেয়ালি শাসন ও তার অস্ত্রপ্রীতি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, গত তিন দশকের মধ্যে ‘ভয়ংকরতম দুর্ভিক্ষের’ মুখে পড়তে চলেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষে প্রায় ১০ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছিল। এবারো একই পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পিটারসন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের গবেষণা বিশ্লেষক লুকাস রেঙ্গিফো-কেলার মনে করেন, বাণিজ্য তথ্য, স্যাটেলাইট চিত্র এবং জাতিসংঘ ও দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষের মূল্যায়নে স্পষ্ট যে, উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য সরবরাহ ‘ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়েও নিচে নেমে গেছে’। স্বৈরশাসিত দেশটিতে খাদ্য বিতরণে অভিজাত শ্রেণি ও সামরিকবাহিনীকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। তবে, বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে যদি সব খাদ্য সমানভাবে বিতরণ করা হয়, তবুও দেশটিতে ‘ক্ষুধাজনিত মৃত্যু’ দেখা যাবে।
জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে একমত। সিউল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিশ্বাস, উত্তর কোরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে বেসামরিক লোক অনাহারে মারা যেতে শুরু করেছে।