বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সর্বশেষ যা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২০ পিএম

ছবি: বিবিসি
রাশিয়ার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে তাকে ডাহা মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি একথা জানান।
ব্রিফিংয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পিছু হটেছে কি না এমন প্রশ্নও উঠেছে।
মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নির্বাচন দেখতে চায়। আর সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সম্ভাব্য সকল তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, মস্কো বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অবাধ, সুষ্ঠু, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী পিটার হাসকে হিংসাত্মক আক্রমণের হুমকি দিচ্ছেন। এনিয়ে তিনি উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। এমন পরিস্থিতেতে রাশিয়ার অভিযোগ। বাংলাদেশে পিটার হাসের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে জন কিরবি বলেন, রাশিয়ার অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। রাশিয়ানরাও এটা জানে যে এটি মিথ্যা অভিযোগ। এটাকে শুধুই রাশিয়ানদের মিথ্যা প্রচারণার বাইরে আর কিছু বলা যায় না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি আমরাও চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একইভাবে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধীদল, ক্ষমতাসীন সরকারসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করতে এবং গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা পূরণে তাদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে।
এরপর পৃথক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বলেন, ইন্ডিয়া টুডের সম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করার জন্য ভারত, চীন এবং রাশিয়া একজোট হয়েছে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন ও বিরোধীদের জেলে ঢোকানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে (বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে) আপনি কি আপনার অবস্থান থেকে সরে আসছেন? এর আগে যেমনটা আপনারা বলছেন যে, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ আপনারা নেবেন?
জবাবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের এই কো-অর্ডিনেটর বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি এবং আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবো।
দেশের বাইরের কোনও নির্বাচনে আরা কারও পক্ষ নিই না এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই নীতির পরিবর্তন হবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।
বাংলাদেশের জনগণের সেই মৌলিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য আমরা যা করতে পারি সেটাই করবো এবং রাষ্ট্রদূত ও তার দল সেটাই করবে।