নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের উৎকণ্ঠা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এবং এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় বিশ্বাসযোগ্য পর্যবেক্ষক কাজে লাগিয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচনে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অযাচিত বিধিনিষেধ ও হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেছে। খবর ডনের।
বিবৃতিটিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা নির্বাচনী সহিংসতা, মিডিয়া কর্মীদের উপর হামলাসহ মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা প্রয়োগে বিধিনিষেধ এবং ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবাগুলিতে বাধা এবং নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানাই।’
মিলার আরো দাবি করেন, এই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগগুলোর সম্পূর্ণ তদন্ত করা উচিত। আমাদের দুই দেশের অংশীদারীত্বমূলক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে পিএমএলএনকে বিজয়ী বলে দাবি করেন নওয়াজ শরিফ। তিনি আরও বলেন, ‘শেহবাজ শরিফ, ফজলুর রহমান, খালিদ মকবুল সিদ্দিকী এবং আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে আগামীকাল থেকে আমি আলোচনা শুরু করতে বলেছি।’
আরো পড়ুন: নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসন জয়ের দাবি ইমরানের
আরো পড়ুন: ইমরান-নওয়াজ উভয়ই বিজয় দাবি করছেন
খুরশীদ শাহ বলেন, ‘এখনও তো সবগুলো আসনের ফলাফল আসেনি। নওয়াজের এত ব্যস্ততা কীসের? এখনো সময় আছে, আমরা আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী নেতা ছিলেন খুরশিদ শাহ। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরিফ।