চাপে রাশিয়া, পারমাণবিক অস্ত্র মহড়ার নির্দেশ পুতিনের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১১:৩২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের আশপাশে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানোর জন্য নিজ দেশের সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন । নির্দিষ্ট কয়েকজন পশ্চিমা নেতার হুমকির মুখে’ দেশটির ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত হুমকির মুখে রুশ সামরিক বাহিনীকে এই মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি ও সেনা মোতায়েনসহ সামরিক মহড়া চালাবে মস্কো। রুশ বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়ার দক্ষিণ সামরিক জেলার সৈন্যরাও এ মহড়ায় অংশ নেবেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার উস্কানিমূলক বিবৃতি ও হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই এই মহড়ার লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বারবার কথা বলছেন পুতিন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণেও রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছিলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের ‘প্রকৃত’ ঝুঁকি রয়েছে।
এখন পর্যন্ত রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। বিশ্বের মোট ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টিরও বেশি এই দুই দেশের অস্ত্র ভাণ্ডারে রয়েছে। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের তালিকায় এরপরের অবস্থানটিই চীনের। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন।
ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার কাছে প্রায় এক হাজার ৫৫৮টি নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে। তবে স্বচ্ছতার অভাবে রাশিয়ার এই ধরনের অস্ত্রের সঠিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলা চালানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের আর কোনো যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হয়নি।