ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও আগ্নেয়গিরির লাভায় নিহত বেড়ে ৩৭

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:২৫ এএম

বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া
পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যা ও আগ্নেয়গিরির ঠান্ডা লাভার প্রবাহে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠান্ডা লাভা লাহার নামে পরিচিত। আগ্নেয়গিরির লাভায় যেসব ছাই, বালি ও নুড়ি মিশ্রিত থাকে, সেটাই বৃষ্টিতে গলে লাহারে পরিণত হয়।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, শনিবার রাত থেকে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের আগাম ও তানাহ দাতার অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চলটি লাভার স্রোতে প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে এই দুই অঞ্চলে লাভার কাদায় প্রায় ডুবে গেছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা আরো জানিয়েছে, ঠান্ডা লাভায় অন্তত পাঁচটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বাড়িঘর, মসজিদসহ শতাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অনুসন্ধান অভিযানে স্থানীয় উদ্ধারকারী, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধান করতে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে লোকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের একটি দল এবং রাবার বোট পাঠিয়েছে। স্থানীয় সরকার দুটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় উচ্ছেদ কেন্দ্র এবং জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
আগাম জেলার ৪৩ বছর বয়সী গৃহবধূ রিনা দেবিনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি বজ্রপাত এবং ফুটন্ত পানির মতো শব্দ শুনেছি। এটি মারাপি পর্বত থেকে বড় বড় পাথর পড়ার শব্দ ছিল। পিচ কালো থাকায় আমি আমার মোবাইলটি টর্চ হিসেবে ব্যবহার করেছি। রাস্তা কাদায় ডুবে যাওয়ায় আমি বারবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি। তিন সন্তানের এই জননী বলেন, বড় পাথরের চাপায় তার চার প্রতিবেশী মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া। গত দুই মাস আগেই মারাত্মক বন্যার কবলে পড়ে এই অঞ্চল।