ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাস করছেন ফিলিস্তিনিরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০১:৫২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আকাশপথে ও স্থলপথে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। রাফায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর পর সেখানে থাকা ফিলিস্তিনিরা প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র সরে গিয়ে ধ্বংস্তুপের মধ্যে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে দেড় লাখ ইউএনআরডব্লিউএর সহায়তার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ রিপোর্ট বলছে, রাফাহ খালি করার জন্য ইসরায়েলের ঘোষণার পর বাস্তুচ্যুত লোকজন কাছাকাছি শহর খান ইউনিসে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন।
ইসরায়েলের হামলার ঘোষণার পর রাফাহ থেকে সরে আসা আট লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ গত ১০ দিনে খান ইউনিসে ইউএনআরডব্লিউএ সহায়তার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসকারী পরিবার, তাঁবু, প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহের অভাব রয়েছে লোকজনের সাহায্যের প্রয়োজন।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৭০৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ৯৯০ জন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এসবে তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে।
হামলার শুরুর পর ইসরায়েলি ঘোষণার প্রেক্ষিতে রাফাহ এলাকায় অবস্থান নেয় কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি। পরে ইসরায়েল সেখানেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দিলে ফিলিস্তিনিরা রাফা ছেড়ে সরে অন্যত্র যান।
মূলত চলতি মাসের শুরুতে রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে তারা সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়। এতে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে মানবিক খারাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুধু রাফায় নয়, গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে।