রাইসির শোকের মধ্যেই সৌদির কাছ থেকে দুঃসংবাদ পেল ইরান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি ইরানের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে হারিয়েছে দেশটি। সেই শোকের রেশ না কাতেই এবার সৌদি আরবের কাছ থেকে দুঃসংবাদ পেলো তেহরান।
বুধবার (২৯ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, তাদের ছয় ক্রুকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে সৌদি আরব। হজ শুরুর আগে এক সপ্তাহ আটকে রাখার পর তাদের সৌদি থেকে বের করে দেয়া হয়।
এদিকে রাইসির মৃত্যুর পর সৌদি সরকার শোক জানিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ইরান সফরেও যেতে পারেন সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। কিন্তু তার আগেই রিয়াদ থেকে খারাপ সংবাদ পেলো তেহরান।
ইরানের দিক থেকে এমন গুরুত্বর অভিযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে মুখ খোলেনি সৌদি আরব। তবে সৌদি আরবের পবিত্র স্থান নিয়ে সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি ও শিয়া অধ্যুষিত ইরানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে উত্তেজনা চলছে। বিশেষ করে হজের সময় উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, মসজিদে নববীতে কোরআন তিলাওয়াতের রেকর্ডিং করার সময় এক সপ্তাহে তিন ক্রুকে আটক করা হয়।
তবে ঠিক কী কারণে তাদের আটক করা হয়, তা জানায়নি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তবে ওই তিনজনকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর একটি বন্দিশালায় রাখা হয়। এর দুদিন পর ইরানের আরবি ভাষার চ্যানেল আল আলামের এবং রাষ্ট্রীয় টিভির আরেক সাংবাদিককে গাড়ি থেকে নামার পর আটক করে। আর মদিনার একটি হোটেল থেকে এক রেডিও সাংবাদিককে আটক করে সৌদির পুলিশ।
পরে ওই ছয়জনকে হজ করতে না দিয়েই মুক্ত করে ইরানে ফেরত পাঠানো হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় মুক্ত হন ওই ছয়জন। ওই ব্যক্তিরা কোনো অন্যায় করেনি বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তাদের ভাষায়, ওয়ারেন্ট ছাড়া ওই ছয়জনকে বন্দি করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি যা ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং নামে পরিচিত, তার প্রধান পেমেন জেবেলি বলেন, স্বাভাবিক এবং রুটিন কাজ করার সময় ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ভিত্তিক ফ্রিডম হাউসের র্যাংকিংয়ে ইরান ও সৌদি আরব ‘মুক্ত দেশ’ হিসেবে বিবেচিত হয় না। সৌদির শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে রিয়াদ ও তেহরান সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে গেল বছর চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। কিন্তু ইয়েমেনে হুথিদের সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে ইরান, যা নিয়ে রিয়াদের অসন্তোষ এখনো মেটেনি।