সিকিমে এখনও আটকা সহস্রাধিক পর্যটক, নামছে আরো ধস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সিকিমের ‘লাইফলাইন’ বলে পরিচিত স্থানীয়দের মধ্যে। এই মহাসড়কের উপর নির্ভর করে সিকিমের মানুষের সমস্ত কিছু। টানা বৃষ্টিতে সেই মহাসড়কের জায়গায় জায়গায় ধস নেমেছে। থামছে না বৃষ্টিপাত। যত্রতত্র নেমেছে ধস।
ক্রমশ আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের উত্তরাংশের বন্যা পরিস্থিতি। সিকিমে বৃষ্টি কমার নাম নেই। একই ভাবে বৃষ্টিপাত চলছে দার্জিলিং, কালিম্পংসহ তরাই এবং ডুয়ার্সে। পরিস্থিতি এমনই যে, সিকিমের ‘লাইফলাইন’ বলে পরিচিত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিতে হল প্রশাসনকে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল গোটা দেশের।
যে হেতু, নিরাপত্তার খাতিরে জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হল, তাই পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেই আবার তা খুলে দেয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুন: কোরবানির ছাগলের মুখে প্লাস্টিকের দাঁত!
শনিবার গভীর রাত থেকে চলছে বৃষ্টি। কালিম্পং জেলার লিখুভিড় থেকে বন্ধ ছিল যান চলাচল। রবিবার সকালে জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় নতুন করে ধস নামে। সেবক পেরিয়ে কালিঝোরা-লাটপানচার রোডের অবস্থা করুণ। শ্বেতিঝোরার কাছে জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে গিয়েছে। রাস্তায় একাংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন পারাপার করিয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশের ভিড় কমিয়ে রবিবার সম্পূর্ণ ভাবে জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন।
অবিরাম বৃষ্টির জেরে কালিঝোরা, রবিঝোরা, ২৭ মাইলসহ একাধিক জায়গায় নতুন করে ধস নেমেছে। সিকিমেও বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই। ফলে, মাঙ্গন থেকে গ্যাংটক এবং মাঙ্গন থেকে সিংথামের রাস্তায় একাধিক জায়গা ইতিমধ্যেই ধসের কবলে পড়েছে। অন্য দিকে, লাচুংয়ের আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে এয়ারলিফ্টের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।