ভারতে ভোলে বাবার অনুষ্ঠানে গিয়ে ১২১ জনের মৃত্যু

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে।এ ঘটনায় আরো ২৮ জন আহত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকের সংখ্যা অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে তিনগুণ বেশি ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
০২জুলাই অনুষ্ঠানে পুলিশ ৮০ হাজার মানুষের উপস্থিতর অনুমোদন দিয়েছিল। তবে রয়টার্সের যাচাই করা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে ২ লাখ ৫০ হাজার লোক উপস্থিত হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ১০৮ জন নারী এবং সাতটি শিশু রয়েছে। হাতরাস জেলার রতিভানপুর গ্রামের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সৎসঙ্গে একজন ধর্ম প্রচারক ও তার স্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন। সে অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ম প্রচারক সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবার ব্যানারে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছেন।
তবে, সেই ‘সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’কে ঘটনার পর থেকে খুঁজছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইতোমধ্যেই। পুলিশের অনুমান, ফুলরাই গ্রাম, অর্থাৎ যেখানে ওই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে মাইনপুরীর আশ্রমে রয়েছেন ‘ভোলেবাবা’।
বড় ধরনের বন্যার মুখে পড়েছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম। ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে হু হু করে পানি ঢুকছে বেশ কিছু জায়গায়। চলতি এই বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসামের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে— এখন পর্যন্ত আসামে বন্যা কবলিত জেলার সংখ্যা ১৯। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ ছাড়া অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এদিকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আসামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ছাড়া আরও যেসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে সে নদীগুলো হলো— সুবানসিরি, দিখৌ, দিসাং, বুড়িদিহিং, জিয়া-ভারালি, বেকি এবং কুশিয়ারা।
সোমবার এক বিবৃতিতে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, পার্শ্ববর্তী অরুণাচল প্রদেশে ব্যাপক বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্টি পাহাড়ি ঢল এই বন্যার জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে ইতোমধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে তার এবং কেন্দ্রীয় সরকার আসামকে যাবতীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে।