জাতিসংঘ
গাজার দুর্ভিক্ষ দেখে আপনারা চুপ থাকেন কীভাবে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের কাছে জাতিসংঘ প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববাসী কীভাবে গাজার দুর্ভিক্ষ দেখে চুপ করে রয়েছে। তারা কীভাবে এ বিষয়ে নীরব এবং উদাসীন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ৩৮ হাজারেরো বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং এ নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বর্তমানে ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ মানুষ গৃহহীন অবস্থায় অনাহারে রয়েছে। তাদের খাবারের সংকট রয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা তারা পাচ্ছে না।
এক্স-এর একটি পোস্টে ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের অনাহার অভিযানের কারণে ৬ মাস বয়সী ফায়েজ আতায়া এবং ১৩ বছর বয়সী আব্দুল কাদের আল-সেরহি দুর্ভিক্ষের সর্বশেষ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। এই জঘন্য অন্যায়ের মুখে কীভাবে আমরা নীরব, উদাসীন বা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারি?
ক্ষুধার মাত্রার উপর জাতিসংঘের সর্বশেষ আইপিসি রিপোর্ট অনুসারে, ফিলিস্তিনের জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ বা প্রায় ২১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ- ‘সংকট’ স্তরে বা তার বেশি মাত্রায় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন।
আলবেনিজ বলেন, ইসরায়েলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনাহার অভিযানের কারণে গাজার প্রতিটি ফিলিস্তিনি এখন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন।
আরো পড়ুন: গাজার স্কুলে বিমান হামলায় নিহত ১৬
এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার মাইকেল ফাখরি এক পোস্টে বলেন, গাজার দুর্ভিক্ষ উত্তর থেকে পুরো ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনি শিশুদের মৃত্যু আমাদের সবকিছু স্পষ্ট বলে দেয়। ফয়েজ আতায়া (৬ মাস বয়সী) ৩০ মে মারা যান। আব্দুল কাদের আল-সেরহি (১৩ বছর বয়সী) ১ জুন মারা যান। তারা দুজনেই অনাহারে মারা গেছে। তাই কোন সন্দেহ নেই, দুর্ভিক্ষ পুরো গাজা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
কীভাবে একটি শিশু অনাহারে মারা যায় অর্থাৎ কীভাবে দুর্ভিক্ষ আসে? তিনি বলেন, অপুষ্টি বা ডিহাইড্রেশন থেকে একটি শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকে যা ইঙ্গিত দেয় দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সামাজিক কাঠামোতে হামলা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, যখন প্রথম শিশুটি অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় মারা যায়, তখন বুঝতে হবে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, অনাহারে মৃত্যুর প্রথম খবর এসেছে উত্তর গাজা থেকে। মাহমুদ ফাতুহ (১ মাস বয়সী) ২৪ ফেব্রুয়ারিতে মারা যান। ইয়াজান আল কাফারনেহ (১০ বছর বয়সী) ৪ মার্চ মারা যান। উভয়ই অনাহারে মারা গেছে। এই মৃত্যু রোধ করতে সমগ্র বিশ্বের উচিত ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অনাহার অভিযান বন্ধ করা।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, প্রায়ই গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আর এদিকে অবরুদ্ধ ছিটমহলের পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।